বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘পানির অভাবে বাংলাদেশে ১৫ লক্ষ টন চাল কম উৎপাদন হচ্ছে। ১৫ লক্ষ টন চাল বেশি উৎপাদন হলে এ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকত।’’ 

তিনি আরো বলেন, “তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি আর্ন্তজাতিকভাবে ন্যায়নীতির ন্যায্য দাবি। সকলের দাবি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পানি বণ্টনের ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফল আমাদের এখানে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তিস্তাপাড়ের মানুষ বাড়ি ঘর ফেলে চলে যাচ্ছে।”

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই এলাকায় তিস্তার অববাহিকায় তিস্তা রক্ষা আন্দোলনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে তিস্তা বাঁচাও আন্দোনের ডাক দিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। এর বহিঃপ্রকাশ এ আন্দোলনের মাধ্যমে ঘটেছে। এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পানি যতদিন না আসবে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের জন সমর্থন ছাড়া কোন কিছুই করা সমাধান সম্ভব না। বিএনপি মানুষের জন সমর্থন নিয়ে এটার সমাধান কল্পে এ আন্দোলন শুরু করেছে। এটার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”

এসময় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল হক রুবেল, উলিপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হায়দার আলী, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি আমিমুল এহসানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

একই দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর অববাহিকায় তিস্তা রক্ষা আন্দোনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিন বিকেলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।

সোমবার থেকে চলা এ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ তিস্তাপাড়ের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

ঢাকা/বাদশাহ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন সদস য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের রায় দেন। 

রায়ের আগে বিচারক বলেন, ‘উনার (মোসাদ্দেক আলী ফালু) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। উনি তো সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। আর তার অবৈধ সম্পদ যদি থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হলো।’

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালাম খালাসে তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর তিনি হাসিখুশি মেজাজে নেতাকর্মীদের অভিবাদ গ্রহণ করেন। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। পরে আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান।

২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাও আসামি ছিলেন। মামলাটিতে পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ফালুর আবেদন খাজির করে দেন এবং স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটিতে ফালু পলাতক থাকা অবস্থায় চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করে। নোটিশের প্রেক্ষিতে ফালু ওই বছর ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়। 

২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোসাদ্দেক আলী ফালু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ