আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংস্থাটির চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের দেরি হওয়া নিয়ে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৩ সালে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল্য ঋণ মঞ্জুর করে, যার তিন কিস্তি বাবদ ২৩০ কোটি ডলারের সমান অর্থ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার সাপেক্ষে আইএমএফ ঋণের কিস্তির টাকা ছাড় করে থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজেট–সহায়তা কর্মসূচির আওতায় যেসব সংস্কার কার্যক্রম নেওয়া হয়, এর মধ্যে কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময়ের দরকার হতে পারে। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়।

আরও বলা হয়, আগামী এপ্রিলে আইএমএফের নির্ধারিত পর্যালোচনা মিশন আসবে ঢাকায়। আর জুনে হবে আইএমএফের পর্ষদ সভা। পর্ষদ সভায় অনুমোদনের পর কিস্তি দুটির অর্থ একসঙ্গে আগামী জুনে ছাড় হবে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমাদের কিছু কাজ আছে। তাই অত তাড়া করছি না। আর এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক। তাই মরিয়া হয়ে উঠছি না।’

কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি জুনে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা পরামর্শ দিয়েছে। আমরাও বলেছি কিছু বিষয় আছে, যা আমরা দ্রুত করতে পারব না।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

সাইমুল হক, ফয়সাল মাহমুদ, মো. ফরহান, হৃদয় ও মাসুম। তাঁরা বন্ধু। সময়–সুযোগ পেলেই একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন। এবারও ছুটির দিনে একসঙ্গে যাচ্ছিলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র মিরিঞ্জা ভ্যালিতে। তবে কাছাকাছি গিয়েও পর্যটনকেন্দ্রটি পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। এর আগেই তাঁদের বহনকারী জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল হক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

গত শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে মিরিঞ্জা ভ্যালির আগে লামা-আলীকদম সড়কে জিপ থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন সাইমুল। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাইমুল চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে। তিনি একটি মুঠোফোন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতেন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাইমুলের বন্ধু ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চকরিয়া থেকে জিপে উঠি মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার জন্য। লামা-আলীকদম সড়কের হাঁসের দিঘি এলাকা পার হওয়ার পরই পাহাড়ি উঁচুনিচু ও বিপজ্জনক সড়ক। গাড়ি চলার সময় সাইমুল কখনো গাড়িতে ঝুলে, কখনো পেছনে বসে যাচ্ছিল। আমরা তাকে নিষেধ করলেও সে শুনছিল না। মিরিঞ্জা ভ্যালি পৌঁছানোর পাঁচ কিলোমিটার আগে গাড়িটি বাঁক নেওয়ার সময় সাইমুল ছিটকে পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছিটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইমুলের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। এরপর আমরা আর মিরিঞ্জা ভ্যালি না গিয়ে আহত সাইমুলকে নিয়ে চকরিয়া হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে রাতে চট্টগ্রাম শহরের হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

বন্ধুদের সঙ্গে সাইমুল হক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিভাজন হতে দেব না, বললেন মমতা
  • মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বাদামের সঙ্গে খাবেন কোন খাবার 
  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা   
  • বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
  • ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরাই যেন ভাতা পান
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে