রাত ৮টায় মদের বোতল খুলে বসি: গোবিন্দর স্ত্রী
Published: 18th, February 2025 GMT
বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।
গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা স্বামী-সন্তান-সংসার ছাড়া আর কিছু করেননি। অভিনয়ে পা বাড়ানোও সুযোগ থাকার পরও সে পথে পা রাখেননি সন্তানদের জন্য। অর্থাৎ স্বামী-সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের কমতি নেই তার। কিছুদিন আগে হিন্দি রুশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীতা এসব তথ্য জানান।
এবার ‘নিজের জন্য বাঁচার’ নতুন তথ্য দিলেন সুনীতা আহুজা। কার্লি টলসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, গত ১২ বছর ধরে একা নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। এসময় স্বামী-সন্তানদেরও সঙ্গে রাখেন না।
আরো পড়ুন:
রাধিকার এক হাতে ব্রেস্ট পাম্প, অন্য হাতে মদের গ্লাস
৪ দিনে রাশমিকা-ভিকির সিনেমার আয় ২৭৩ কোটি টাকা
সুনীতা আহুজা বলেন, “স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভাবতে থাকলে কখন নিজের জন্য বাঁচবেন? প্রত্যেক বছর আমার জন্মদিনের সকালে মন্দিরে যাই। মাঝে মাঝে গুরুদ্বার, মাতার মন্দির বা অন্য কোনো মন্দিরেও যাই। রাত ৮টা বাজার পরই আমি একা কেক কাটি এবং মদের বোতল খুলে ড্রিংক করতে থাকি।”
জীবনবোধ খানিকটা ব্যাখ্যা করে সুনীতা আহুজা বলেন, “দুটোরই ভারসাম্য বজায় থাকে। মানে পূজাও হয় এবং পার্টিও হয়। আপনি পৃথিবীতে একা এসেছে, যাবেনও একা। নিজের জন্য কীভাবে বাঁচতে হয় তা শিখতে হবে।”
নারীদের পরামর্শ দিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, “আমি প্রতিটি নারীকে বলতে চাই, তোমাদের নিজের জন্য সময় বের করা উচিত। জীবন তো কেবলই স্বামী-সন্তান নিয়েই কেটে যাচ্ছে। কখন নিজের জন্য বাঁচবে? এ কারণে আমি একা সময় কাটাতে পছন্দ করি। আমি আমার স্বামী-বাচ্চাদের যত্ন নিয়েছি। এখন আমাদেরও নিজেদের জন্য বাঁচতে হবে। প্রতিটি নারীর নিজের কথা ভাবা উচিত।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন জ র জন য র জন য ব
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।
আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?
এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।