Samakal:
2025-04-19@18:38:33 GMT

আগামী জুনে বেসিস নির্বাচন

Published: 18th, February 2025 GMT

আগামী জুনে বেসিস নির্বাচন

সারাদেশে সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবাপণ্য নির্মাতাদের সংগঠন বেসিসের নির্বাচন আগামী জুন মাসের শেষভাগে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির। এর আগে সংগঠনের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবে সহায়ক কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ থেকে ৪ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ মেহেদী হাসানকে বেসিসের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশাসককে সহযোগিতা করতে সংগঠনের ১১ জন সদস্যকে নিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর ‘সহায়ক কমিটি’ গঠন করা হয়। সহায়ক কমিটিতে রাফেল কবিরকে চেয়ারম্যান, সৈয়দ মামনুন কাদের ও মো.

মিজানুর রহমানকে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

রাফেল কবির জানান, বর্তমানে বেসিসের সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করতে তিনটি কমিটি কাজ করছে। কমিটির মধ্যে রয়েছে গঠনতন্ত্র সংশোধন, আর্থিক নিরীক্ষা ও মেম্বারশিপ অডিট কমিটি। তিনটি কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিলে নির্বাচন কাযক্রম এগিয়ে যাবে।

সহায়ক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বেসিসের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ সদস্য নিষ্ক্রিয়। তাদের সক্রিয় করার প্রচেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হাজারের বেশি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আগামী নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বাড়বে। নির্বাচনী ধারাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে।

দায়িত্ব প্রসঙ্গে রাফেল কবির সমকালকে বলেন, ৮ ডিসেম্বর সহায়ক কমিটির দায়িত্ব নিয়েছি। যার প্রাথমিক মেয়াদ ১২০ দিন। হিসাব বলছে, আগামী ৪ এপ্রিল দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা। অন্য সংগঠনকে যেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, বর্তমান কমিটি কিছুটা বর্ধিত সময় পাবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর নির্বাহী কমিটির সভায় জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম রাশিদুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট র স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

‘উপকূলে জরায়ু সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে’

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক গবেষণা, শিক্ষা ও পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কেআইটি রয়্যাল ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউটে গবেষণা করছেন নাজনীন নাহার। নারীর স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে তাঁর গবেষণাকর্ম রয়েছে। তিনি কথা বলেছেন সমতার সঙ্গে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়ছে?
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছি। এর প্রভাব আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যা, মৌসুমি খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, এমনকি হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য। উত্তরাঞ্চলে খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি উল্লেখযোগ্য।
স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব কতটা গভীর?
স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং এ তাপমাত্রা বাড়ার কারণে হিটস্ট্রোকের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাপমাত্রা বাড়ার কারণে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে মানসিক স্বাস্থ্যেও অনেক বড় প্রভাব পড়েছে। নিয়মিত দুর্যোগ এবং দুর্যোগসংক্রান্ত সমস্যা মানুষকে মানসিকভাবে ব্যাপক আঘাত করে। কারও কারও এ ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সারাজীবন লেগে যেতে পারে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এটি ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা গর্ভবতী হচ্ছেন, লবণাক্ত পানি ব্যবহার এবং খাওয়ার কারণে তাদের গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিন ইনফেকশনের মতো বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে  যারা জীবন-জীবিকার জন্য অনেক বেশি সময় লবণাক্ত পানিতে সময় কাটাচ্ছেন। কাঁকড়া চাষ বা চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করার জন্য যারা নিয়মিত নোনাপানিতে যান, তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ এবং নারীর জরায়ু সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি খাত। এর ফলে আমাদের অনেকেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যারা আগে নিজেদের ফসল নিজেরাই উৎপন্ন করতেন, তারা এখন পেশা পরিবর্তন করার কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছেন। জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ অপুষ্টিতে ভোগার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে  লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় খাবার পানির স্বল্পতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে দূষিত বা নোনাপানি পান করছেন। এর ফলে অনেক ধরনের পানিবাহিত রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যারা দায়ী, তাদের কেন আমরা এখনও দায়বদ্ধতার জায়গায় আনতে পারছি না?
অর্থনৈতিক ও ক্ষমতা কাঠামোর কারণে এটি সম্ভব হয়নি। যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলো অর্থনৈতিক ও ক্ষমতার দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। মূলত মুনাফানির্ভর ব্যবস্থা জলবায়ুর সুবিচার অর্জনে একটি বড় বাধা। আন্তর্জাতিক দরকষাকষির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর শক্তিশালী নেতৃত্বই পারে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের অগ্রগতি কতটুকু?
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাকে আমরা দু’ভাবে দেখতে পারি। প্রথমত, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব যেন আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে পারি এবং দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে ধীর করতে ব্যবস্থা নিতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্যোগ যেন আমাদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য আমরা জলবায়ুর অভিযোজন পদ্ধতিগুলো অনুশীলন করতে পারি। আমরা যত বেশি উদ্ভাবনী শক্তি অর্জন করতে পারব, আমাদের টিকে থাকা ততটা সহজ হবে। একইভাবে ভবিষ্যতে যেন জলবায়ুর প্রভাব বেশি ত্বরান্বিত না হয়, তার জন্য এখন থেকে আমাদের জলবায়ু প্রশমনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার হতে পারে ভালো একটি উদ্যোগ। একইসঙ্গে সব সমস্যার প্রকৃতিবান্ধব সমাধানকে প্রাধান্য দিতে হবে। এখন আমাদের জন্য বেশি জরুরি হলো– জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী দেশগুলোকে দায়বদ্ধতার জায়গায় আনা, ক্ষতিপূরণে তাদের বাধ্য করা। এ সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের বহুমুখী সমন্বিত কার্যকরী পরিকল্পনা দরকার। 
lসমতা ডেস্ক

সম্পর্কিত নিবন্ধ