পরিবর্তন হচ্ছে র্যাবের নাম ও পোশাক
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নাম ও পোশাকে পরিবর্তনসহ পুনর্গঠন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিশোধ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় র্যাবের নাম ও পোশাকের বিষয়ে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটিকে নতুন করে গঠন করা হবে। র্যাবের নাম ও পোশাকের বিষয়ে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পরবর্তী সভায় নাম ও পোশাকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কী নাম হতে পারে সে বিষয়টি এখনো আলোচনায় রয়েছে।
২০০৪ সালে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গড়ে তোলা হয়েছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দাগী ও দুর্ধর্ষ জঙ্গি দমনের উদ্দেশ্যে।
তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডে এই সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের ভাষ্যমতে, গুমের যে ৪০০টি ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেখানে ১৭২টি ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় রামদা দিয়ে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কোপানোর ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জানতে চান সাংবাদিকেরা।
উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ অপরাধ করার পর যদি আমরা অ্যাকশনে না যাই, তখন বলতে পারতেন যে আমরা কাজ করছি না।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রাচ হাতে, হুইলচেয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে দেড় ঘণ্টা মানববন্ধন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত শতাধিক আহত ব্যক্তি এই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁরা বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই মানববন্ধনে পাশের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে বিভিন্ন তলায় চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হুইল চেয়ার ও ক্রাচে ভর করে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এই মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে আহত ব্যক্তিরা বলেন, গুলিতে আহত হয়ে তাঁরা মাসের পর মাস পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুচিকিৎসার অভাবে তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন না। সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিন পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মাদ্রাসা ছাত্র মো. রাফি হোসাইন বলেন, ১৮ জুলাই শ্যামলী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলির স্প্লিন্টার তাঁর ডান পায়ে লাগে। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলি তাঁর দু হাতে লাগে। তাঁর দুই হাতেই ২৫০ স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্প্লিন্টারের অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর দিন কাটছে। চিকিৎসকেরা ব্যথানাশক ট্যাবলেট দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আর কত দিন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন-এই প্রশ্ন রাখেন।
রাফি বলেন, সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী শনিবার থেকে তাঁরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবুল কেনান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।