আমি ভালো আছি, আমার মৃত্যুটা যেন ঈমানের সঙ্গে হয়: জেড আই খান পান্না
Published: 18th, February 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোর থেকে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। চলমান সেই গুজবের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তিনি বলেন, আমি ভালো আছি, আমার মৃত্যুটা যেন ঈমানের সঙ্গে হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিতে আসেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এদিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সব আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আদালতকে তিনি বলেন, আজ সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে আমার ‘বিদেহী আত্মার’ মাগফিরাত কামনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি ভালো আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালো থাকবো। আমার মৃত্যুটা যেন ঈমানের সঙ্গে হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব আম র ম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা ভোটে জয়ের পথে প্রার্থীরা
কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের পথে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছেন– সভাপতি পদে মো. শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, কোষাধ্যক্ষ মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আইটি সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, শরিফুল ইসলাম, কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।
এর আগে সোমবার কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। তপশিল অনুসারে মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার, প্রত্যাহার ২৩ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৬ মার্চ এ নির্বাচন হবে। এবার মোট ভোটার ১ হাজার ২১০ জন। কিন্তু একজন করে প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা জয়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে জানান, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে আইনজীবী সমিতির সভাপতি (মোস্তাফিজুর রহমান লিটন) ও সাধারণ সম্পাদকসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি ৩২ আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কৌশলে আমাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এবারের তপশিল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অমান্য করে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের তিন দিন সময় দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র এক দিন। নির্বাচনের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে এক সপ্তাহ। আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যাননি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম। সমকালকে তিনি বলেন, এ মামলার সঙ্গে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) এলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো কৌশল করা হয়নি। এ নির্বাচনের কিছু প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।