চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্কুলছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
Published: 18th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বাবাকে অপমানের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কিশামত নাখেন্দা গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর ছোট বোন (৯) দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছে। তার চিকিৎসার জন্য দাদি একটি গরু দেন। এ নিয়ে দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের তাদের বাবাকে চোর সাব্যস্ত করেন। চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে হুমকিও দেন। আজ অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদের উঠানেই মেয়েকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী জানায়, দাদা আব্দুল কাদের সকাল ৯টার দিকে তাকে রশি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। বেধড়ক মারধরে তার হাঁটু, গলা ও পিঠে জখম হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রশি খুলে দেয়।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল কাদের বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি।
ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘মেয়েটি ভীষণ বেয়াদব। মেরে তার পিঠের চামড়া ছিলে দেওয়া উচিত ছিল।’
রাজারহাট থানার ওসি তসলিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।