সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে। ৪ ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে রাশিয়ার প্রতিনিধিরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক সংলাপের সূচনা হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের মতো নয়, যারা কখনোই রাশিয়ার অবস্থান বোঝার চেষ্টা করেনি—এই আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে সংলাপ শুরু করার, রাশিয়ার অবস্থান বোঝার এবং পারস্পরিক সমঝোতার বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। সুত্র- বিবিসি

তিনি আরও বলেন, আমরা বহু বিষয়ের ওপর একমত হয়েছি। আমরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে চিনেছি এবং একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভও বৈঠক সম্পর্কে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন। তিনি রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, মোটেও খারাপ নয়, খারাপ নয়। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসছে কি না, তা বলা কঠিন, তবে আমরা সে বিষয়েই আলোচনা করেছি। এটি ছিল আমাদের আলোচ্য সমস্ত বিষয়ের অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা একে অপরের স্বার্থকে বিবেচনায় নেওয়ার এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সম্মত হয়েছি, কারণ মস্কো ও ওয়াশিংটন উভয়ই এতে আগ্রহী।

উশাকভ জানান, উভয় দেশ একটি স্বতন্ত্র আলোচক দল গঠন করবে, যারা যথাসময়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।

বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বৈঠককে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন স দ আরব

এছাড়াও পড়ুন:

জলকেলিতে শেষ হলো পাহাড়ের উৎসব

পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তি দূর করে ধুয়ে মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আজ মঙ্গলবার জলকেলি উৎসবে মেতে উঠেন মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন। ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে ১৫ দিন ব্যাপী সামাজিক উৎসবের সমাপ্তি ঘটলো। সাংগ্রাই গানের সুরে সুরে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে জল ছিটিয়ে দেন। দিন ব্যাপী উৎসব পাহাড়ি-বাঙালীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। 

কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার মাঠে এই আয়োজনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর অংশ নেন। সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে মহাসাংগ্রাই রিলাং পো য়েঃ বা জলকেলি হয়েছে। জনশ্রুতিতে রয়েছে, জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীদের একে অন্যের সহচর্যে আসা ও প্রিয় মানুষ বেছে নেওয়ার  সুযোগ হয়। 

ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে উৎসবে মেতে উঠেন। জলকেলির পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। উৎসবে তৈলাক্ত বাঁশে উঠার প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়। এছাড়া মাঠে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ মেলা। এতে খাবার, কাপড়-চোপড় ও গৃহস্থলী সামগ্রীর পসরা বসে। সন্ধ্যায় মারমা সম্প্রদায়ের যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। 

উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন। অনুষ্ঠানে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উথোয়াই মং মারমার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্যে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যওসিং মং মারমা। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নাউপ্রু মারমা, সাগরিকা রোয়াজা, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব হ্লাসুই মং মারমা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে মারমা শিল্পীরা উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন। পরে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ও পানি ছিটিয়ে দিয়ে জলকেলি উদ্বোধন করেন। 

জেলকেলিতে অংশ নেওয়া ম্যউসিং জানান, সবাইকে মৈত্রীময় জল ছিটিয়ে দিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে থাকি আমরা। 

উৎসব দেখতে আসা নিলা চাকমা জানান, প্রতি বছর এই উৎসবটির জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। 

চিৎমরমের এলাকার আইনজীবী লাথোয়াই মারমা জানান, আমরা বিশ্বাস করি পুরনো বছরে সমস্ত গ্লানি, দুঃখ ব্যর্থতা পানি ছিটানোর মাধ্যমে ধুয়ে মুছে যাবে।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উথোয়াই মং মারমা জানান, এই সম্প্রদায় তিন দিনের উৎসব পালন করে। ১৩ এপ্রিল ফুল দিয়ে সাংগ্রাইকে বরণ করা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলে-মিশে দিন কেটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারত দৃষ্টি রাখছে: জয়সওয়াল
  • ‘বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ ভারত’
  • জলকেলিতে শেষ হলো পাহাড়ের উৎসব
  • ডলফিনকে কেন বুদ্ধিমান প্রাণী বলা হয়