লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরছেন ৬ নির্মাণ শ্রমিক
Published: 18th, February 2025 GMT
ফেনীতে পিকআপে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত ছয় নির্মাণ শ্রমিকের পরিচয় মিলেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টা থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মিরসরাই থেকে কাজ সেরে ফেনী শহরে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদরাসা এলাকায় নির্মাণশ্রমিক বহন করা পিকআপে একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- ভোলা জেলার মনপুরা থানার চর ফয়জুদ্দিন এলাকার মো.
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাত জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- জাহাঙ্গীর (৩০), সবুজ (২৫) ও নাগর মাঝির (৪০) নাম জানা গেছে। তারা সকলে ভোলা জেলার বাসিন্দা।
নিহত আরিফের স্বজন রাকিব বলেন, “আরিফ এক সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজে ফেনীতে আসেন। গতকাল রাতে খবর পেয়ে আমরা ভোলা থেকে এখানে এসেছি। থানায় কাগজপত্রের কাজ শেষ করে মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।”
নিহত নাজমুল শেখের স্বজন রুহুল আমিন বলেন, “নাজমুল কাজের সুবাদে ফেনীতে একাই থাকতেন। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। সকাল থেকে হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করে এখন মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।”
এ ব্যাপারে মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, “পিকআপে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় নিহত ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই হাসপাতালের মর্গ থেকে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে। কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ পরিবহন ও দাফনকাজের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ফেনী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে।
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক র ঘটন য় মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে সুপারি চুরি করতে গিয়ে খাসিয়াদের মারধরে বাংলাদেশির মৃত্যু
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাত নাগরিক। এর মধ্যে ছয়জন ফিরে এলেও একজন খাসিয়াদের মারধরে নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম কুটি মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী পেকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় জানান, কুটি মিয়া মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি লাশ হস্তান্তরের পর বলা যাবে। উপজেলার বাগানবাড়ি-রিংকু সীমান্ত হাট দিয়ে নিহত কুটি মিয়ার লাশ হস্তান্তরের আলোচনা চলছে। তবে কখন লাশ হস্তান্তর হবে, সময় নির্ধারণ হয়নি। ওসি জাহিদুল আরও বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশি সাতজন ভারতে যান। তাঁরা হলেন কুটি মিয়া (৫০), মো. হানিফ মিয়া (৩০), মো. জরিফ উদ্দিন (৪৫), মো. আকবর আলী (৩১), মো. খোকন মিয়া (৩৫), ইসহাক (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫)। তাঁরা সবাই পেকপাড়া (মোকামছড়া) গ্রামের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিরা ভারতের ভেতরে প্রায় সাত কিলোমিটার ঢুকে নথরাই এলাকার সুপারিবাগানে যান। সেখান থেকে সুপারি চুরির সময় ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে তাঁরা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা ধাওয়া দিলে ছয়জন ফিরে আসতে পারলেও কুটি মিয়া আটক হন। কুটি মিয়াকে খাসিয়ারা মেরে ফেলেছে বলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা তাঁর পরিবারকে জানান।
সুনামগঞ্জ বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ভারতের প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। এ কারণে দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।