মহানগর বিএনপি নেতা এস. আলম রাজীবের হরতাল বিরোধী র্যালি
Published: 18th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা, বিএনপি-বহিঃবিশ্ব কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল-কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস. আলম রাজীবের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে আজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে বিশাল মোটর র্যালী অনুষ্ঠিত হর্য
র্যালীটি এস. আলম রাজীবের জামতলাস্থ বাসভবন থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে নিতাইগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন চত্বর ঘুরে বালুরমাঠে এসে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
বিএনপি নেতা এস.
এস. আলম রাজীব র্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের দালালদেরকে কোনো ভাবে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ছাড় দেওয়া হবে না। কতিপয় বিএনপি নামধারী নেতাদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে সোজা হয়ে যান, ওসমানদের দোসরদের পুনঃবাসন করার কোনো নগ্ন ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে জুলাই বিপ্লবের হত্যা ও হামলার মামলায় অভিযুক্ত আসামীদেরকে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অবিলম্বে গ্রেফতার করুন, অন্যথায় তারা অবিরত দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাতেই থাকবে এবং এর দায়দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আলম র জ ব র ন র য়ণগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা
পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী নয়ামাটি হোসিয়ারিপল্লিতে পোশাক তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা হোসিয়ারি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। এবার ৫০০ কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারেরা।
এবারের ঈদে নয়ামাটি-উকিলপাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রক, বাবা সেট, গেঞ্জি সেট, সূতি ওয়াশের জামা, চায়না জর্জেট, বড়দের গেঞ্জি, স্যান্ডো গেঞ্জি, টি-শার্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অন্তর্বাস, মাথার টুপি, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের নয়ামাটি এলাকায় হোসিয়ারিপল্লি গড়ে ওঠে। পরে নয়ামাটি থেকে তা উকিলপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হোসিয়ারিপল্লি ঘিরে গড়ে ওঠে হোসিয়ারি মার্কেট। এখান থেকে রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা বয়সী মানুষের পোশাক সরবরাহ করা হয়। নয়ামাটি-উকিলপাড়ায় পাঁচ হাজারের মতো হোসিয়ারি কারখানা আছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানায় পোশাক উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একসঙ্গে হয়। সারা বছর পোশাক বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় ঈদের মৌসুমে।
নয়ামাটির বিক্রমপুর হোসিয়ারি মার্কেটের ‘অর্পিতা হোসিয়ারিতে’ এবারের ঈদে এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাদের অ্যাংকর কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। প্রতি ডজন শিশুদের পোশাক ৯৬০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ফ্রক প্রতি ডজন ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অর্পিতা হোসিয়ারির ব্যবস্থাপক সাকিল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুতি ও নিট কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি হোসিয়ারীতে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে