জেলায় জেলায় জামায়াত নেতা আজহারুলের মুক্তির দাবি
Published: 18th, February 2025 GMT
জেলায় জেলায় জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলায় আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নেতা-কর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করেন।
টাঙ্গাইল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
এদিন বিকেলে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী হুমায়ন কবীর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম খান ও হোসনে মোবারক বাবুল, কর্ম পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ তালুকদার, জেলা শিবিরের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায়ের পর অনেক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিও মুক্তি পেয়েছে। আমাদের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। প্রায় ১৩ বছর যাবত অন্যায়ভাবে কারাভোগ করছেন। এখনও দেশে বৈষম্য বিরাজমান। এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বক্তারা।
পঞ্চগড়
কারাবন্দি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে দলটি।
বিকেলে পঞ্চগড় শহরের চৌড়ঙ্গী মোর থেকে মিছিলটি বের হয়। মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় তেঁতুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বলেন, “পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাবন্দি করা হয় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে। দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন তিনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে গেলেও তার সাজানো মামলা থেকে এখনো মুক্তি মিলেনি এই জামায়াত নেতার।”
নওগাঁ
নিবন্ধন ফেরত ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীণভাবে ভারতীয় প্রভূত্ববাদ মেনে না নেওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে।”
দ্রুত সময়ের মধ্যে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত ও দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও সংগঠনের নিবন্ধন ফিরে পেতে সারাদেশের ন্যায় বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াত।
এদিন বেলা আড়াইটায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্য যাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ট্রাফিক পয়েন্ট চত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট নুরুল আলমের সঞ্চালনায়, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান।
এসময় তোফায়েল আহমেদ খান বলেন, “দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারাবিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত।”
তিনি আরো বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি।”
কুমিল্লা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা.
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসাবে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা
এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।
মঙ্গলবার বিকাল চারটায় সাতক্ষীরা-খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন আসিব চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে যেয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। একই সময়ে শহরের চারটি প্রবেশ পথ দিয়ে শহরে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে জামায়াত।
সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, গাজী নজরুল ইসলাম, শেখ নূরুল হুদা, প্রমুখ।
ঢাকা/কাওছার/নাঈম/সাজু/মনোয়ার/রুবেল/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজহ র ল ইসল ম র ম ক ত র দ ব ত ইসল ম র স স ন মগঞ জ ত র আম র শহর র সরক র সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘সন্তানের উসিলায় আজীবন পহেলা বৈশাখ ভিন্নভাবে পালন করতে পারব’
বাড়ির পাশে মুরগির খামার। খামারে স্বামী মমিনুল ইসলামকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী রত্না বেগম। দীর্ঘ কয়েক মাস তিনি একাই চালিয়ে যাচ্ছেন খামারের সব কাজ। কারণ, রত্না বেগম এখন হাসপাতালের বেডে। রোববার মধ্য রাতে হঠাৎ প্রসব বেদনার যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না। স্বজনদের পরামর্শে বাধ্য হয়ে রাতেই তাঁকে রংপুর নগরীর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পহেলা বৈশাখ সকাল ৬টায় তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। শিশুটির জন্মগ্রহণের খবরে চারদিক সরব হয়ে ওঠে। কিন্তু মমিনুলের মুখে হাসি নেই। কারণ তিনি ইতোমধ্যে জেনে গেছেন সন্তান সুস্থ থাকলেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম জানান, অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে রত্নার। তিনি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। তাঁর শরীরে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। সন্তান সুস্থ-স্বাভাবিক রয়েছে, মায়ের দুধ পান করছে।’
‘পর পর দুটি কন্যাসন্তানের পর ছেলে হইল, আল্লাহ আমাদের আশা পূরণ করেছে। পহেলা বৈশাখ সকালে সন্তানের জন্ম হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। সন্তানের উসিলায় আজীবন আমরা পহেলা বৈশাখ ভিন্নভাবে পালন করতে পারব।’ সন্তান কোলে তুলে আনন্দের এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের বাবা মমিনুল ইসলাম।
রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া গঞ্জিপুর গ্রামের বাসিন্দা মমিনুল ২০১২ সালে পার্শ্ববর্তী গ্রামের রত্না বেগমকে পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করেন। খেটে খাওয়া দম্পতির পর পর তাদের দুটি কন্যাসন্তান হয়। তৃতীয় সন্তানের আশায় প্রহর গুনছিলেন পরিবারের সবাই। যদিও অন্তঃসত্ত্বাকালীন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেননি তারা। জানতেন না সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিনক্ষণ। ভরসা করেন সৃষ্টিকর্তার ওপর। তবে তারা মনে করেন সন্তান নেওয়ার আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এতে অনেক জটিলতা কমে আসে।
বাড়ির খামারের আয় দিয়েই মূলত পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। ধর্মভীরু মা-ই তাদের দুই কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন। বড় মেয়ে জান্নাতুল মুনতাহার বয়স ১১ বছর। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পাঁচ বছর বয়সের জান্নাতুল মাওয়া স্থানীয় মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করে মাত্র। তৃতীয় সন্তান এলো এবার। হিসাব অনুযায়ী এ মাসের যে কোনো সময় সন্তান প্রসব হতে পারে ধারণা ছিল এ দম্পতির। বাংলা নববর্ষের দিনই হবে এমন ধারণা ছিল না।
এটি শুভ লক্ষ্মণ উল্লেখ করে মমিনুল ইসলাম জানান, ভালো দিনেই ছেলের জন্ম হয়েছে। বাংলা বর্ষবরণে যেদিন বাঙালিরা তাদের প্রাণের উৎসবে মেতে ওঠে; এমন উৎসবের দিনে সন্তান জন্ম হওয়ায় তার জন্মদিন যেমন সহজে মনে থাকবে, তেমনি প্রতি বছর উৎসবের মধ্যেই জন্মদিন পালন হবে।
সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান মমিনুল। তিনি বলেন, ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানিয়ে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে জীবনে কত কষ্টই না করেন বাবা-মা। কিন্তু এক সময় বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়ার মতো সময় থাকে না ওই সন্তানের। সবকিছু থাকার পরও শেষ সময়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হয় অনেক বাবা-মাকে। তাই সন্তানকে মানবিক শিক্ষা দিয়ে মানুষ হিসেবে তৈরি করতে চাই।
তিনি আরও জানান, রোববার রাতে রত্না বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে ভাড়া করা গাড়িতে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানকার ডাক্তার-নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। প্রসবের ব্যবস্থা করেন। অবশেষে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। পহেলা বৈশাখ সকালে সন্তান জন্ম নিলেও কেউ আমাদের কোনো শুভেচ্ছা জানায়নি। দৈনিক সমকাল নবজাতকসহ আমাদের সন্তানকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে, তা আজীবন মনে থাকবে।’
পহেলা বৈশাখ সকালে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রত্না বেগম বেডে শুইয়ে থাকলেও মমিনুল ইসলাম ওয়ার্ডের মধ্যে সন্তানকে কোলে জড়িয়ে পায়চারি করছেন। নবজাতকের শরীরে তখন শুধুই টাওয়াল জড়ানো। তবে খবর পাওয়ার পর বাড়ি থেকে স্বজনরা এসে তাকে জামা পরিয়েছে। বাজার থেকে কিনে পহেলা বৈশাখের লাল টুকটুকে জামা পরাবেন বলে জানান মমিনুল। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর কোলেই প্রথম উঠেছে এই নবজাতক।
শিশুর নাম রেখেছেন মোহাম্মদ রাইয়ান। তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে আগেই নাম ঠিক করে রেখেছিলেন বলে জানান। মমিনুলের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন কোনো কথা না বললেও হাসপাতালের বেডে শুইয়ে সন্তানের মা রত্না বেগম সবকিছু দেখছিলেন এবং শুনছিলেন। তাঁর কাঙ্ক্ষিত সন্তানকে বরণ করে নেওয়ায় যেন চোখের ভাষায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন তিনিও।
সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সন্তান ও মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন মমিনুল। আমার খামারের সঙ্গী এখন হাসপাতালে। তাকে সুস্থভাবে নিয়ে যেন দ্রুত হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারি এটাই এখন চাওয়া।