চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরাবরই চুপচাপ। সিনেমা এবং পারিবারিক ছবি ছাড়া কোনো ইস্যুতে তিনি তেমন পোস্ট দিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন না। অথচ সেই বাপ্পী ফেসবুকে অনেকটা ক্ষোভ ঝেড়ে মঙ্গলবার দুপুরে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

বাপ্পী লিখেছেন, ‘ফেসবুকটা হয়ে গেসে এখন ফকি…. আড্ডাখানা। মনিটাইজেশন অফ করে দিলে এইসব বস্তিদের বস্তিগিরি হয়তো কম দেখা লাগতো।’

ফেসবুকে এক নারী উদ্যোক্তা এবং বিতর্কিত ব্র্যান্ড প্রমোটারের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা চলছে। তারা পরস্পরকে নানাভাবে দোষারোপ করছেন। তাদের এই কর্মকাণ্ডে নেটিজনরাও ভীষণ বিরক্ত। এরমধ্যে নারী উদ্যোক্তা চুপ হয়ে গেলেও ব্র্যান্ড প্রমোটার ইউটিউবারদের ডেকে বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ করে পুনরায় বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন! নেটিজেনরা ধারণা করছেন, তাদের ইঙ্গিত করেই চিত্রনায়ক বাপ্পী তার ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়ে পোস্ট দেন।

‘বস্তি’ বলে পোস্ট দেয়া প্রসঙ্গে বাপ্পী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এখন যা চলছে তা কোনোভাবে মানা যায় না। যারা ভালোভাবে সাংবাদিকতা করে তাদের উচিত এদের কাছে না যাওয়া। আমি যতদূর পারি এসব নেগেটিভ জিনিস না দেখে এড়িয়ে যাই।’

গেল ডিসেম্বরে বাপ্পীর ‘ডেঞ্জার জোন’ ছবিটি মুক্তি পেলেও মুখ থুবড়ে পড়ে। তার আগে শত্রু ও জয় বাংলা মুক্তি পেলেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, খাটের নিচে পড়ে ছিল ৭ মাসের বাচ্চা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাহুবলের সভাপতি আব্দুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিনারা বেগম (৩৮) উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা।

নিহতের স্বামী জানান, তিনি একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে উপজেলায় সরকারি অনুষ্ঠান শেষে হবিগঞ্জে রোকন বৈঠক করে সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে দেখেন দরজা খোলা। ঘরের লাইট বন্ধ। পরে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন তার ৭ মাসের সন্তান খাটের নিচে পড়ে আছে। তার স্ত্রী খাটের ওপর পরে ছুরিকাঘাত করা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

এ খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াস উদ্দীন, বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। এছাড়া ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও বাহুবল ১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এম শাহাজান আলীসহ উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ও  আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন।

পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

রাতে বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ