ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গে বেঞ্চে ওইদিন এই আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হবে।  

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো.

রেজাউল হক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্ট্রপক্ষের আবেদন স্থগিত না করে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। 

রায়ে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের পর থেকে নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। অন্যদিকে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

২০২৩ সালের ১৪ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। কিন্তু ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংক্রান্ত গত ২৩ জুলাই প্রকাশিত গেজেট অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিতদের পক্ষে হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করা হয়। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে খুনের পর পালাল স্বামী, পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহ

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে নিহত সীমা আক্তার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হক করিমের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে তার স্বামী মাহমুদুল হক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, মাহমুদুল হক উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পিএইচপি গ্লাস তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে স্ত্রী সীমা আক্তারকে নিয়ে কারখানা কাছাকাছি চাড়ালকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। রাতে কলহের জের ধরে স্ত্রী সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন মাহমুদুল হক।

আহত সীমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাহমুদুল হক পলাতক রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ