আসন্ন রমজান মাসে জোরদার হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি। আগামীকাল বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীর বাজার তদারকিতে কাজ শুরু করবে তিনটি টিম।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর বাজার সমূহে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গঠিত টিমের প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো.

আব্দুর রহিম কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন।

কর্মশালায় টিম লিডারদের উদ্দেশে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম নিয়মিতভাবে ঢাকা মহানগর এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় স্পেশাল টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার তদারকি করে থাকে। এর পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বাজার তদারকি করে থাকে। এতে করে অবৈধ মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করতে পারে না। রমজানকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আরও নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে নিয়মিত দুটি টিম বাজার মনিটরিং করলেও রমজান উপলক্ষে আগামীকাল থেকে প্রতিদিন তিনটি টিম বাজার মনিটরিং বা তদারকি করবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ছয়টি টিম কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে তদারকিতে থাকবে তাদের দশটি টিম।

এর পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লিফলেট বিতরণ ও স্থানীয় বাজার কমিটির মাধ্যমে মাইকিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ও সুপারসপ সমূহেও তদারকি কার্যক্রম চলবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ান হাউসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন

ঢাকার রাশিয়ান হাউসে মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ফাউন্ডেশন এবং রুশ-বাংলা কল্যাণ ট্রাস্টের সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে মাইন অপসারণে নিবেদিত প্রচেষ্টার জন্য সোভিয়েত নৌবাহিনীকে আন্তরিক অভিবাদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পি দভোইচেনকভ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রুশ-বাংলা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল ওহাব এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশের উন্নয়নে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। 

তিনি বলেন, “সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় মিত্রশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।”

ঢাকা/হাসান/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ