এসআই পদের কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
Published: 18th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদের কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদে লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ৯৬২ প্রার্থীর কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ টেলিকম সংস্থা ও স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স, এসবি, উত্তরা, ঢাকায় এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০০ প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হবে। এক দিনে চার শিফট করে প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার মধ্যে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ওয়েব ব্রাউজিং ও ট্রাবলশুটিং বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন, ব্যাগ, ছাতা, ক্যামেরা, ক্যালকুলেটর বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনা যাবে না।
আরও পড়ুনবিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিধিমালা চূড়ান্ত পিএসসির৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভৈরবে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, ডিবির দুই সদস্য বরখাস্ত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়া হয়। ৫ ঘণ্টা পর ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল ইসমাইল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এক আদেশে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। আজ রোববার দুপুরে মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেলোয়ার ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ সুপার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ভৈরব উপজেলার মানিকদী নতুন বাজারে আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মুদিদোকানে ব্যবসা করেন। অভিযোগ রয়েছে, গত সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস আমির হোসেনের দোকানের সামনে থামে। মাইক্রোবাস থেকে ডিবি পুলিশের আটজন সদস্য নামেন। নেমেই আমির হোসেনের কাছে জানতে চান জ্বালানি তেল বিক্রি করেন কি না। পরে ওই দোকানে তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে আমির হোসেনকে বাইরে নিয়ে যেতে চান। আমির হোসেন যেতে চাননি। তখন কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে ওঠানো হয়। পরে গাড়ি দিয়ে তাঁকে ভৈরব ও কুলিয়ারচরের বিভিন্ন প্রান্তে নেওয়া হয়। চলমান অবস্থায় তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। না দিতে পারলে এক হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার কথা বলা হয়। একপর্যায়ে এসআই দেলোয়ারের মুঠোফোন দিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমির হোসেন যোগাযোগ করেন এবং ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
আমির হোসেন বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি জানি না। গাড়ির ভেতর মারধর করা হয়েছে, টাকা দেওয়ার পর আমাকে ছাড়া হয়। বিষয়টি আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমির হোসেনের কাছে মাদক আছে—এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু ওই দিন তাঁর কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। মনে হয়েছে, আমির হোসেনকে নিয়ে আরও কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালানো গেলে মাদক পাওয়া যেতে পারে। সেই কারণে তাঁকে গাড়িতে ওঠানো হয়। কিন্তু তাতেও আমরা সফল হইনি। শেষে দুজনকে ছেড়ে দিয়েছি। এর মধ্যে লেনদেনের কোনো বিষয় নেই।’