এবার পাকিস্তানের আলি আজমত গান গাইতে ঢাকায় আসছেন
Published: 18th, February 2025 GMT
দেশে বেড়েছে পাকিস্তানি গায়কদের কদর। কয়েকদিন আগে ঢাকায় পাকিস্তানের রাহাত ফতেহ আলি খান, আতিফ আসলামসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক মাতিয়ে গেলেন। এবার ঢাকায় গান গাইতে আসছেন পাকিস্তানের আলী আজমত। সুফি রক ব্যান্ড ‘জুনুন’র জনপ্রিয় এই ভোকাল তিনি। আগামী ২ মে ঢাকায় একক কনসার্ট করবেন এই গায়ক।
‘আলি আজমত (দ্য ভয়েজ অব জুনুন) লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামে আয়োজিত এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে। আয়োজন করেছে অ্যাসেন বাজ। যদিও এখনও টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। এ ছাড়া কনসার্টে আলি আজমতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো শিল্পী মঞ্চ ভাগ করবেন কি-না, সে বিষয়ও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
আলি আজমতের সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রোতাদের পরিচয় নতুন নয়। জুনুন ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি এর আগেও দুইবার বাংলাদেশে পারফর্ম করেছেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো একক কনসার্ট নিয়ে আসছেন এই গায়ক।
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত সুফি ঘরানার রক ব্যান্ড ‘জুনুন’র অন্যতম প্রধান সদস্য আলি আজমত। তাঁর কণ্ঠের জাদুতে ‘সায়োনি’ কিংবা ‘খুদি কো কর বুলন্দ’ গানগুলো পেয়েছে আলাদা মাত্রা। শুধু ব্যান্ডসংগীতেই নয়, বলিউডেও তিনি নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। ২০০৩ সালে ‘পাপ’ সিনেমার ‘গরজ বরস’ গানের মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ সিনেমার ‘জিন্দা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
গান ছাড়াও অভিনয়ে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা পাকিস্তানের ব্লকবাস্টার হিট ‘দ্য লিজেন্ড অব মওলা জাট’। সংগীতের প্রতি তাঁর নিবেদন ও বহুমাত্রিক প্রতিভাই তাঁকে আজও দক্ষিণ এশিয়ার সংগীতপ্রেমীদের মাঝে ভীষণ জনপ্রিয় করে রেখেছে।
২ মে’র কনসার্ট নিয়ে উন্মুখ সংগীতপ্রেমীরা। তাঁরা অপেক্ষায় আছেন, আলী আজমত তাঁর সুফি রক সংগীতের অনন্য আবহ নিয়ে কীভাবে ঢাকার মঞ্চ মাতিয়ে তুলবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনস র ট কনস র ট জনপ র য়
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি: কনা
শ্রোতা প্রাণ খুলে গাইছে, কখনও ফেটে পড়ছে উল্লাসে– এমন দৃশ্যের সাক্ষী হতে চান প্রায় সব শিল্পী। দিলশাদ নাহার কনা এর ব্যতিক্রম নন। নন্দিত এই শিল্পীর চাওয়া পূরণ হয়েছে বহু বছর আগেই; বরং তাঁর গাওয়া গানগুলোর সঙ্গে অনুরাগীদের উল্লাসে মেতে ওঠার দৃশ্য প্রতিনিয়তই দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এমন অনেক গান আছে, যা দীর্ঘ সময় শ্রোতামনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে। যার সুবাদে কনা নিজেও রপ্ত করে ফেলেছেন উৎসব আয়োজনগুলো জমকালো করে তোলার মন্ত্র।
বেশি দূরের নয়, সদ্য পেরিয়ে আসা ঈদ আর বৈশাখী আয়োজনের দিকে যদি নজর দিই, তাহলে দেখা যাবে এই দুই উৎসবের জনপ্রিয় গানগুলোর বেশির ভাগই কনার গাওয়া।
শ্রোতার মুখে মুখে ফিরছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় ইমরানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর ‘কন্যা’ গানটি। পাশাপাশি ঈদের সিনেমা ‘জংলি’-তে নন্দিত সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা-সুর ও সংগীতায়োজনে গাওয়া ‘বন্ধুগো শোনো’ গানটিও প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে। এই গানেও কনা সহশিল্পী ইমরান।
এর বাইরেও আসিফ আকবরের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া অডিও গান ‘ভীষণরকম ভালোবাসি’, আরিটিভির ‘আর মিউজিকে’ অনুষ্ঠানে গাওয়া ফোন ফিউশন গান ‘বাউলা কে বানাইলো রে’, ‘মন দিতে চাই’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পায়েল’ নাটকে সালমান জাইমের সঙ্গে গাওয়া ‘বুকে লাগে টান’, ‘মন দুয়ারী’ নাটকে নাজির মাহমুদের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার ব্যথায় আমি’ এবং ‘হৃদয়ে রেখেছি গোপনে’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুই আমার ভালোবাসা’সহ আর বেশ কিছু গান শ্রোতা মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। তাই সময়টা যে এখনও কনার দখলে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় দুই দশক ধরে গানের ভুবনে কনার বিচরণ।
দীর্ঘ সংগীত সফরে শিশুশিল্পী থেকে হয়ে উঠেছেন একজন পরিণত ভার্সেটাইল শিল্পী। আর তা সম্ভব হয়েছে গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর নিরলস সংগীতচর্চার মধ্য দিয়ে। শ্রোতার কাছেই তার সব নিবেদন। সে কারণেই আমরা তাঁকে দেখি, দিনমান দেশ-বিদেশের মঞ্চে ছুটে বেড়াতে। গানে গানে সিনেমা, নাটক, অ্যালবাম, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল থেকে শুরু করে রেডিও, টিভি আয়োজনসহ সব মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর কণ্ঠ। খ্যাতির মোহে নাকি সাত সুরের মায়াজালে বাধা পড়েছেন বলে এই ব্যস্ততা?
সে প্রশ্ন করতেই কনা হেসে বলেন, ‘খ্যাতি মোহে না, শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি। আর শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছি বলেই তাদের প্রত্যাশা পূরণের দায় অনুভব করি। তাই শ্রোতা যতদিন নতুন কিছু চাইবেন এবং চেষ্টা করে যাব তাদের নতুন কিছু দেওয়ার।’ কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে এসব মাধ্যমে সরব থাকার চেষ্টা, তা কি মনের মধ্যে বাড়তি কোনো চাপ তৈরি করে না? ‘একদমই না। কারণ যখন যা করি, তা আনন্দ নিয়েই করি। তাই কোনো কাজেই আলাদা কোনো চাপ অনুভব করি না। তা ছাড়া জনপ্রিয়তার মোহে যে কোনো কাজ করার ইচ্ছা কখনও ছিল না। তাই প্রতিটি কাজেই থাকে যত্ন ও ভালোবাসার ছাপ।’
কনার এ কথায় বোঝা গেল, সংগীতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা নিবিড় ভালোবাসার। তাই দিনরাত গানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসেন। তাই গায়কীতে বারবার নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। সে কারণেই আধুনিক মোলো-রোমান্টিক গান থেকে শুরু করে রক, পপ, টোকনো, ফোক ফিউশনসহ বিভিন্ন ধাঁচের গান তাঁর কণ্ঠে শোনার সুযোগ পান সংগীতপ্রেমীরা। আগামীতেও সেই সুযোগ পাবেন– সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কনা নিজেই।