এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম, নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, জিরো পয়েন্ট ও প্রেসক্লাব এলাকা।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।
বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন দলটির আমির ডা.
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করতে নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানান সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইসল ম র
এছাড়াও পড়ুন:
৩২ ওমরাহ যাত্রীর ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও এজেন্সি পরিচালক
বরগুনা ও পিরোজপুরের ৩২ জন ওমরাহ যাত্রীর প্রায় ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন একটি হজ এজেন্সির পরিচালক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই পরিচালক ওমরাহ যাত্রীদের হাত খরচ ও বিমানের টিকিটের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এই ঘটনায় এজেন্সির পরিচালকের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এম এ জাকারিয়া। তিনি দারুস-সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির পরিচালক। তিনি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ওলামাগঞ্জ এলাকার মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৩
হাসপাতালে টয়লেটের পাইপে নবজাতক
ভুক্তভোগীরা জানান, বরগুনা সদরের মিজান টাওয়ারে দারুস-সুন্নাহ হজ কাফেলা ছিল। এই এজেন্সির মাধ্যমে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বরগুনা ও পিরোজপুরের ৩২ জন ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যান। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় ১৪ দিনের প্যাকেজ বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ পালন করতে যান তারা। সেখানে নিজেদের হাত খরচের জন্য বাংলাদেশি টাকাকে সৌদি রিয়ালে রূপান্তরিত করতে ৩২ জন ওমরাহ যাত্রী ২৮ লাখ টাকা এজেন্সি পরিচালক এম এ জাকারিয়ার হাতে দেন।
সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর রিয়াল না দিয়ে প্রতারণা করেন জাকারিয়া। ঘটনার পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর পাথরঘাটা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজেন্সি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। তার অভিযোগ, শুধু রিয়েল নয়, এজেন্সির পরিচালক প্রতারণা করেছেন তাদের ফিরতি টিকিট নিয়েও। তিনি যাত্রীর ফিরতি টিকেটের বিমান ভাড়ার ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম বলেন, “সৌদি আরব গিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ ও স্ত্রীর জন্য গহনা কেনার জন্য ইসলামী ব্যাংক পাথরঘাটা এজেন্ট শাখা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বরগুনা ইসলামী ব্যাংকের জাকারিয়ার একাউন্টে পাঠাই। কথা ছিল, এ টাকার পরিবর্তে সৌদি আরবের মক্কায় গিয়ে রিয়াল দেবেন তিনি আমাদের। মক্কায় গিয়ে রিয়াল না দিয়ে জাকারিয়া জানান, মদিনায় গিয়ে রিয়াল দেবেন।”
তিনি আরো বলেন, “মদিনায় গিয়ে রিয়াল চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের ঝামেলার কারণে টাকা পাস হচ্ছে না। দেশে গিয়ে টাকা দিয়ে দেবেন। এরপর বাংলাদেশে এসে কয়েক দফা তাগাদা দেই। পরে বরগুনার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিষয়টি জানালে, তাদের কাছে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন জাকারিয়া।”
তিনি বলেন, “কথা মতো নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পরিশোধ না করে গত ৪ ডিসেম্বর পুনরায় টাকা দেওয়ার কথা বলেন জাকারিয়া। নির্ধারিত তারিখেও টাকা পরিশোধ না করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এরপর আমি মামলা করি আদালতে।”
তিনি আরো বলেন, “ওমরাহ থেকে দেশে আসার সময় বিমানের ফিরতি টিকিট নিশ্চিত না করে বিমানবন্দরে হাজিদের রেখে সটকে পড়েন জাকারিয়া। তখন আমিসহ ৩২ জন হাজী নিজ খরচে টিকিট কেটে দেশে ফিরি।”
একই অভিযোগ করেন প্রতারণার শিকার অন্য হাজিরা। তারা জানান, সৌদি মুদ্রা রিয়াল দেওয়ার কথা বলে তাদের সবার থেকেই টাকা নেন এজেন্সি পরিচালক। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশে ফিরে টাকা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার এছাহাক আলী, আবদুল খালেক, রহমত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, শাহনাজ পারভীন ও নাসিমা বেগমের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা, বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা সোবাহান মাষ্টার, কবির, নজরুল, আজহার উদ্দিন মাস্টার, হালিমা বেগম, ফিরোজা বেগম ও নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা নিয়েছেন জাকারিয়া।
বরগুনা সদর ও বেতাগীর সাত জনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা, বরগুনা সদরের মাহবুবুর রহমান খোকা ও আরিফ মোল্লার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেন জাকারিয়া।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলুর মাধ্যমে মোবাইলে যোগাযোগ করলে দারুস-সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির পরিচালক এম এ জাকারিয়া জানান, টাকা নিয়ে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তিনি পর্যায়ক্রমে সবার টাকা ফেরত দেবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বরগুনার উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছেন তিনি। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ