টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়
Published: 18th, February 2025 GMT
তারুণ্যর অগ্রযাত্রার তাগিদে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ স্লোগানে কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথমবারের মতো ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। এতে টেকনাফ উপজেলার ১০০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেন। সকাল সোয়া ৮টায় টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে দৌড় শুরু হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবরাং জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয় ৯টায়। এতে ৪১ মিনিট সময় নিয়ে টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ইউসুফ জালাল (১০৭৫) প্রথম স্থান অর্জন করেন।
সকালে ম্যারাথন দৌড়ের উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন। এসময় উপস্থিল ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ নেজামী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ইপসার প্রকল্প সমন্বয়কারী রাশেদুল করিম প্রমুখ।
এদিকে তরুণের জয়গান ও তারুণ্যর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার তাগিদে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে উজ্জীবিত একঝাঁক তরুণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠেয় ম্যারাথন সার্থক ও সুন্দর করার জন্য ইপসা ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়েছে। ম্যারাথন দৌড় সফল করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের পাশাপাশি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার ও ইপসার প্রকল্প সমন্বয়কারীসহ সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ম্যারাথন হচ্ছে একটি পন্থা যার মাধ্যমে আমরা শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারি ও মানসিক চাপ কমাতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা দৌড়াচ্ছে তারা জুলাই-আগস্ট মাসে বিপ্লব করেছিল তাদেরকে নিয়ে আমদের ‘রান ফর জাস্টিস’ নামে এ দৌড় শুরু করা হয়েছে। এটা কোন প্রতিযোগিতা নয়। আমরা জানিয়ে দিতে চাই তরুণেরা সকলেই একতাবদ্ধ রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে মিয়া রাস্তার মাথা এলাকার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এর আগে, শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এসময় নবজাতককে দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে যান শিশুটির খোঁজ নিতে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু
ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী
মিয়া রাস্তা এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নেই। শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা কেউই দেখেননি।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো বলতে পারবেন।”
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। কেউ যদি শিশুটিতে নিতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ