পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ আগামী ৫ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব) রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

আরাভ খানের আইনজীবী রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩) এবং দুই কিশোরী মেহেরুন নেছা স্বর্ণ ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফী (১৬) ও ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশা (১৬)। আসামিদের মধ্যে রবিউল ও সুরাইয়া পলাতক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আন্নাফী ও মাইশা জামিনে আছেন এবং অপর আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। আন্নাফী ও মাইশার বিচার শিশু আদালতে চলছে।

২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপি সর্মথক শফিকুল। 

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘বোমা’ হামলায় বিএনপি নেতা আহত

জমি নিয়ে বিরোধে চিত্রনায়িকা দিতির বাড়িতে হামলা, আহত ২

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এস এস রিকাবুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের দিন পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছিল সেনা সদস্যরা। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

খুলনা মহানগর বিএনপির নিন্দা: 
কুয়েটের মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ও ছবি, ভিডিও ফুটেজ পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে দেশবাসী জানতে পেরেছে, খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়-কুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সূত্রপাত গুপ্ত একটি ছাত্র সংগঠন ঘটিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত রাহুল জাবেদ, ইফাজ ও ইউসুফ নামের তিনজন ছাত্রদল সমর্থকের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে। সেই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কোনো ধরণের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় মারাত্মক আহত খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সর্মথক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে প্রেরণ করেছে। যা রীতিমতো নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ