পাকিস্তানের মাঠে ভারতের পতাকা না থাকার ব্যাখ্যা দিল পিসিবি
Published: 18th, February 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণেই দৃশ্যটি অনেকের চোখে পড়ে। এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে গতকাল ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ৮ দলের মধ্যে ৭ দলের পতাকা লাগানো হয়েছে। নেই শুধু ভারতের পতাকা।
তখনই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের পতাকা লাগায়নি? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওঠে আলোচনার ঝড়। আজ এর ব্যাখ্যা দিয়েছে পিসিবি।
পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এটি পিসিবির পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ ছিল না; বরং আইসিসির নির্দেশনার কারণে এমনটি হয়েছে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ চলাকালে শুধু চারটি পতাকা উত্তোলন করা হবে—আইসিসি, পিসিবি এবং সেদিনের ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দুটি দলের। যেহেতু ভারতীয় দল পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ খেলবে না, তাই দেশটির তিন ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের পতাকা উড়বে না।
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরাপত্তা: চলছে গোয়েন্দা অভিযান, ১২ হাজারের বেশি পুলিশ, থাকছে স্নাইপারও১ ঘণ্টা আগেপিসিবির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আইসিসি নির্দেশ দিয়েছে যে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালে শুধু চারটি পতাকা উত্তোলন করা হবে—আইসিসি, পিসিবি এবং সেদিনের ম্যাচে অংশ নেওয়া দুই দল। বিষয়টি একদম পরিষ্কার।’
ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা।
শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।