পার্কিং জটিলতায় ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
Published: 18th, February 2025 GMT
পার্কিং জটিলতায় ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা কাস্টমস ক্লিরিং এন্ড ফরওয়র্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহাকুমার ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় পার্কিং মালিকেরা বৈষম্যের শিকার দাবি করে আন্দোলনে নামে। দুই শতাধিক সদস্য ও কর্মীরা ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের চেকপোস্টের কাছে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
আরো পড়ুন:
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ
বাংলাবান্ধা দিয়ে এল ১০০ টন সিদ্ধ চাল
ভোমরা কাস্টমস ক্লিরিং এন্ড ফরওয়র্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান জানান, বাংলাদেশ অংশে সমস্যা নেই। ভারতের ওপারে পার্কিং জটিলতার কারণে আজ সকাল থেকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করেনি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করা হলো
ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করা হলো। বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। ওই সব স্থলবন্দর দিয়ে মূলত ভারত থেকে সুতা আমদানি হতো।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বস্ত্র খাতের অন্যতম কাঁচামাল সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানায় বস্ত্রশিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। এরপর গত মার্চ মাসে এক চিঠিতে পোশাকশিল্পে দেশে তৈরি সুতার ব্যবহার বাড়াতে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকশিল্পের সুতা আমদানি বন্ধ করার জন্য এনবিআরকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
তখন ট্যারিফ কমিশন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সব সীমান্তসংলগ্ন সড়ক ও রেলপথ এবং স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সুতা কাউন্ট নির্ণয়ে যথাযথ অবকাঠামো প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুপারিশ করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথে বা অন্য কোনো পথে সুতা আমদানি করা যাবে।
জানা গেছে, ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে সুতা বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এসব সুতা তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ কারণে দেশি সুতার পরিবর্তে স্থলবন্দর দিয়ে আসা সুতা বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে দেশের বস্ত্রশিল্পকারখানাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)।
জানা গেছে, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।