ভারতে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আলোচনা শুরু হয়। যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে কিনা। অবশেষে একদিন পর শুরু হচ্ছে কাঙ্খিত ওই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ম্যাচ শুরুর আগের দিনও আলোচনায় ভারত ও পাকিস্তান।

ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে সম্মত হয়নি। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ খেলবে তারা। এরপর তারা জার্সিতে পাকিস্তানের নাম রাখবে না এমনটা শোনা গিয়েছিল। অবশেষে পাকিস্তানের নাম রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।

জার্সিতে দেখা গেছে, এক পাশে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পাকিস্তান’ লেখা আছে। অন্য পাশে বিসিসিআই-এর লোগো। আইসিসির টুর্নামেন্ট যে দেশ আয়োজন করে ওই দেশের নাম জার্সিতে রাখা নিয়মের মধ্যে পড়ে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের নাম জার্সিতে রাখতে বাধ্য হয়েছে ভারত।

এর এক দিন আগে অবশ্য করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ভারত ছাড়া আসরে অংশ নেওয়া বাকি সাত দলের পতাকা উত্তোলন করে পিসিবি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে এর ব্যাখ্যা দিয়ে পিসিবি জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ায় পতাকা উত্তোলন হয়নি।

এছাড়া পিসিবি জানিয়েছে, আইসিসি ম্যাচের দিন সর্বোচ্চ চারটি পতাকা উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছে। আইসিসির পতাকা, স্বাগতিক পাকিস্তানের পতাকা ও যে দুই দল ম্যাচ খেলবে তাদের পতাকা। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জুড়ে পাকিস্তানের করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হবে না। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে অপহৃত শিক্ষককে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

অপহরণের শিকার এক মাদরাসা শিক্ষককে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে মো. রিফাতুল ইসলাম (২৫) নামে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৫ এ তথ্য জানায়।

আরো পড়ুন:

শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ঈদে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রবিউল ইসলাম (২৭), রুবেল চৌধুরী (২৭), নাজমুল হোসেন (৪২) ও নাহিদ মিয়াজ (৩৫)। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি। 

র‌্যাব জানায়, গত ৫ এপ্রিল রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে কর্মস্থল হাজারিবাগে যাচ্ছিলেন রিফাতুল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল রিফাতুলের পরিবারকে ফোন করে অপহরণকারীরা এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রিফাতুলের পরিবার বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের দফায় দফায় টাকা পাঠান। সর্বমোট দেড় লাখ টাকার বেশি পরিশোধ করেন তারা। এরপরও রিফাতুলকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার র‌্যাব-৪-এ অভিযোগ করে। গোয়েন্দা তদন্ত ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৫-এর যৌথ অভিযানে রিফাতুলকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ