সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরী কামাল, তার মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।

ওই আবেদনে বলা হয়, আসামি লোটাস কামাল, তার স্ত্রী ও কন্যাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সম্পর্কিত মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৬৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, তার স্ত্রী কাশ্মীরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা, মেয়ে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ ন ষ ধ জ ঞ

এছাড়াও পড়ুন:

চবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত ১২ শিক্ষার্থীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টায় ৫৫৯তম (এক্সট্রাঅর্ডিনারি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “সিন্ডিকেট সভায় বহিষ্কার আদেশ পাওয়া ১২ শিক্ষার্থীকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া এক ছাত্রীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তার স্থায়ী বহিষ্কার আদেশ বহাল থাকবে।”

তিনি বলেন, “আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া অপরাধীদের শাস্তি বাতিলও হতে পারে, আবার বহালও থাকতে পারে। তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবে।”

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ কুরবান আলীকে থাপ্পড় দেন হলটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি।

এ ঘটনায় আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং ধর্ম অবমাননার দায়ে মোট ১২ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ