ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮.

৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫.৯৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৩৬ কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৯টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৫৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৮২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮১৬ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩২.৪৩ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৩.৫৫ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২১১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৯০টি কোম্পানির, কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসইত ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাসে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, বিচহ্যাচারির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচহ্যাচারির শেয়ারের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

ডিএসইতে গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ৩৪ টাকা বা সোয়া ৩৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসেই বেড়েছে ১২ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের দিক থেকেও শীর্ষ ২০ কোম্পানির তালিকায় ছিল এটি। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া কোম্পানিটির এই মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক মনে করছে বিএসইসি। এ কারণে মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিএসইকে।

বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিচহ্যাচারির শেয়ারের দাম ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে, যা সন্দেহজনক। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারের সব ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী, লেনদেনের জন্য অনুমোদিত প্রতিনিধি ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি বিধিমালা যথাযথভাবে পরিপালন করে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের জন্য ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করে বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি উপপরিচালক শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এদিকে ঢাকার বাজারে আজ বিচহ্যাচারির প্রতিটি শেয়ারের দাম আড়াই টাকা বা ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৪০ পয়সায়। এদিন কোম্পানিটির প্রায় ৯ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল এটি। ছয় মাস আগে গত সেপ্টেম্বরেও কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৮০ টাকার ঘরে। আর এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের মার্চে এটির শেয়ারের দাম ছিল ৫০ টাকার কাছাকাছি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এটির শেয়ারের দাম বেড়ে প্রায় সোয়া দুই গুণ হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন মাসে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, বিচহ্যাচারির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ