তিস্তা মহাপরিকল্পনা অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
তিস্তা মহাপরিকল্পনা আগামী অক্টোবরের মধ্যে জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষদিনে বৈঠক শেষে এ তিনি কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, এবারের নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। সেখানে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) দলীয় তকমা থাকার সুযোগ নেই। যদি কোনো রাজনৈতিক দল অভিযোগ করে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নদী-বন উদ্ধার এবং পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মধুপুরে সংরক্ষিত শালবনের সীমানা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করা হবে। কক্সবাজারের ৫১ একর সংরক্ষণ বন ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়েও সম্মেলনে আলোচনা করা হয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ভোমরা স্থলবন্দরে ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ৯দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। স্থলবন্দর বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন দিয়ে চালু থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লম্বা ছুটির কারণে এই বন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাবে ১৪ কোটি টাকা।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবু মুছা বলেন, “২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে না। ৬ এপ্রিল (রবিবার) থেকে পুনরায় বন্দর সচল হবে।”
আরো পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি ৯ দিন বন্ধ
বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল ২৩১ মেট্রিক টন আলু
তিনি আরো বলেন, “আজ বিকেল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। একইভাবে, আমদানিকারকরা ছুটিতে থাকবেন। ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না।”
ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর এটি। বন্দরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফল, কয়লা, মশলা ও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সহকারী কমিশনার সাকিব রায়হান বলেন, “আগামী ৬ এপ্রিল (রবিবার) থেকে বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে। তখন স্বাভাবিকভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুরোদমে চলবে।”
বন্দরের কাষ্টমস বিষয়ক সম্পাদক আমীর হামজা বলেন, “৯ দিনের ছুটির কারণে এই বন্দরে গড়ে দেড় কোটি টাকা হারে সাড়ে ১৩ বা ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।”
ভোমরা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুফান দুলাল মন্ডল বলেন, “ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। যাত্রীরা আগের মতোই নির্বিঘ্নে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারবেন।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ