চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরাপত্তা: চলছে গোয়েন্দা অভিযান, ১২ হাজারের বেশি পুলিশ, থাকছে স্নাইপারও
Published: 18th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠের বাইরেও প্রমাণ করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। ২৯ বছর পর প্রথমবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশটি।
নিরাপত্তার প্রশ্নে তাই ছাড় দিতে রাজি নয় পাকিস্তান। শুধু লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতেই নিরাপত্তার জন্য ১২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাঞ্জাবের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) উসমান আনোয়ার নিশ্চিত করেছেন, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও ক্রিকেট-ভক্তদের জন্য পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
লাহোরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, যার মধ্যে থাকবেন ১২ জন সিনিয়র অফিসার, ৩৯ জন ডিএসপি, ৮৬ জন পরিদর্শক, ৭০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৬ হাজার ৬৭৩ জন কনস্টেবল এবং ১২৯ জন নারী পুলিশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে দায়িত্ব পালন করবেন ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে থাকবেন ৬ জন সিনিয়র অফিসার, ১৫ জন ডিএসপি, ৫০ জন পরিদর্শক, ৫০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৪ হাজার কনস্টেবল এবং শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য।
আরও পড়ুন‘পাকিস্তান’ লেখা জার্সি পরেই খেলবে ভারত৩ ঘণ্টা আগেপাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক জানান, খেলোয়াড়দের আবাসস্থল, যাতায়াত পথ ও স্টেডিয়ামের আশপাশে সার্চ, সুইপ, কম্বিং ও গোয়েন্দাভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্টেডিয়াম, হোটেল ও খেলোয়াড়দের রুটে আধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি করবে পাঞ্জাব সেফ সিটি কর্তৃপক্ষ।
কাল শুরু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। প্রথম ম্যাচেই খেলবে পাকিস্তান।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
তামিমের জন্য প্রার্থনায় শাহরুখ খানের নাইট রাইডার্স
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরে দ্রুতই তাকে সাভারের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাবেক এই জাতীয় দলের অধিনায়ক ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন।
হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তামিমের এনজিওগ্রাম করা হয়, যেখানে তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়ে। জানা গেছে, ওই ব্লকটি ছিল শতভাগ বন্ধ। তাই বর্তমানে তাকে ঢাকায় আনার মতো অবস্থায় নেই। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত তার হার্টে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে হাসপাতালেই।
তামিমের হঠাৎ অসুস্থতায় ক্রিকেটাঙ্গনে নেমে এসেছে উদ্বেগ ও শোকের ছায়া। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জরুরি বোর্ড সভা স্থগিত করেছে।
এদিকে তামিমের দ্রুত সুস্থতা কামনায় এগিয়ে এসেছে ওপার বাংলার আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় তারা লিখেছে, ‘শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন, তামিম ইকবাল। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব আপনার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছে।’
সারাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেকেই তামিমের দ্রুত আরোগ্য কামনায় পাশে দাঁড়িয়েছে। লঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার লাসিথ মালিঙ্গা তামিমের সুস্থতা কামনা করে লিখেছেন, ‘তামিমের দ্রুত এবং পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি। সবসময় মাঠে যেমন লড়ে গিয়েছো সেভাবেই লড়তে থাকো।’
এদিকে তামিমের সবশেষ অবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল-ক্লিনিক শাখা) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, তিনি (তামিম ইকবাল) একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইমারি পিসিআই করা হয় এবং এলসিএক্স নামের ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেখানে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্লকেজ কমে গিয়ে হার্টে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।