শেয়ারবাজার থেকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৫ লাখ শেয়ার কিনবেন কোম্পানিটির পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার শেয়ার কেনার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই শেয়ার কেনা সম্পন্ন করবেন অঞ্জন চৌধুরী।

শেয়ারবাজারে আজ স্কয়ার ফার্মার প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২১৫ টাকা। সেই হিসাবে ১৫ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে শেয়ারের দাম কমলে বা বাড়লে এই দামও কমবে বা বাড়বে।

স্কয়ার ফার্মা দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি। প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে কোম্পানিটি গড়ে তোলেন। বর্তমানে কোম্পানিটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর চার ছেলে–মেয়ে। তার মধ্যে চেয়ার‌ম্যান হিসেবে স্যামুয়েল এস চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রত্না পাত্র, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তপন চৌধুরী ও পরিচালক হিসেবে অঞ্জন চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষে গত অক্টোবর–ডিসেম্বর–তিন মাসে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ৬৬০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি টাকা বা ২৬ শতাংশ। গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে কোম্পানিটির আয় বা ব্যবসায় প্রায় ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটি ১ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ২২৩ কোটি টাকার।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আয় বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিটির মুনাফায়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদ বা মুনাফা। গত বছরের শেষ ৩ মাসে এ খাত থেকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০৫ কোটি টাকা।

ভালো মুনাফা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে তার বড় ধরনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং এটির শেয়ারের দাম কয়েক মাস ধরে একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২২১ টাকা। আজ লেনদেন শেষে এই দাম ছিল ২১৫ টাকায়।

এ অবস্থায় কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। অতীতেও দেখা গেছে, যখনই বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমে যায় তখনই বাজার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার উদ্যোগ নেন পরিচালকেরা। এবারও একই উদ্দেশ্যে এক পরিচালক শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন বলে কোম্পানি সূত্রে জানা যায়।

এদিকে, অঞ্জন চৌধুরীর শেয়ার কেনার ঘোষণায়ও আজ বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে ইতিবাচক কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫০ পয়সা কমেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ম ণ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ফেডের লোকসানের ধারা অব্যাহত, যদিও গত বছর কমেছে

গত বছর টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অপারেটিং লস বা পরিচালন লোকসানের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ২০২৪ সালে তারা ৭ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার লোকসান দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফেড বলেছে, গত বছর লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০২৩ সালে ফেডের লোকসান হয়েছিল ১১ হাজার ৪৩০ কোটি। সর্বশেষ ২০২২ সালে ফেড মুনাফা করেছিল ৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই লোকসানের প্রধান কারণ ছিল ২০২০–২১ সালের কোভিড-১৯ মহামারি। এরপর ২০২২–২৩ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে দীর্ঘ সময় উচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে শুরু করে।

২০২৩ সালে সুদ বাবদ সংস্থাটির ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ১১০ কোটি ডলার। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে যা ২২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে সুদ বাবদ আয় ছিল ১৭ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিজনিত অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকে সুদহার ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করায় অনিশ্চয়তা ‘অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্যই নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসন ‘খুব বড়’ পদক্ষেপ নিতে চলেছে এবং এর ফলে দেশটিতে ‘ক্রান্তিকালীন সময়’ বা ‘বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। তবে তাঁর এসব পদক্ষেপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র মন্দার কবলে পড়বে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

সবচেয়ে উদ্বেগের খবর, ফেব্রুয়ারিতে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হলে মূল্যস্ফীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে উঠে গেলে নীতি সুদহার আরও বাড়াতে হবে ফেডারেল রিজার্ভকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ১০ তারিখের মধ্যে দিতে নির্দেশ
  • আমাজনের মালিক বেজোস কবে বিয়ে করছেন সানচেজকে  
  • জেমিনি সি ফুডের কারসাজি: এবাদুল পরিবারকে ৩.৮৫ কোটি টাকা দণ্ড
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ফলাফল প্রকাশ, ফেল ১২ শতাংশের বেশি
  • ফেডের লোকসানের ধারা অব্যাহত, যদিও গত বছর কমেছে
  • গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন যত হামাস নেতা 
  • সামিট পাওয়ারের মুনাফা কমল ১০৭ কোটি টাকা
  • মুনাফা কমেছে সামিট পাওয়ারের