রিটেইল থেরাপি কি মন ভালো করে দিতে পারে
Published: 18th, February 2025 GMT
পছন্দ করুন বা না করুন, কেনাকাটা জীবনেরই একটি অংশ। আপনি হয়তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দোকানে ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম তুলনা করেন বা সেরা পণ্যটি খুঁজে বের করেন। আবার হয়তো অনলাইনে মুদিপণ্য, পোশাক বা অন্যান্য জিনিস কেনাকাটাই বেশি পছন্দ করেন। তবে অনেক সময় শুধু প্রয়োজনের জন্য নয়, বরং মন ভালো করার জন্যও কেনাকাটা করে থাকেন অনেকে। দুশ্চিন্তা বা চাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নতুন কিছু কেনেন বা শপিং মলে ঘুরে বেড়ান, যা সাময়িক সময়ের হলেও আনন্দ দেয়। এই অভ্যাসকে বলা হয় ‘রিটেইল থেরাপি’। এই থেরাপির ভালো-মন্দ দিকগুলো জেনে রাখুন।
কখনো যদি মন খারাপ বা স্ট্রেসের সময় কেনাকাটা করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই দেখেছেন, নতুন কিছু কিনলে বা শুধু শপিং মলে ঘুরে বেড়ালেও মন ভালো লাগে। এটিই মূলত রিটেইল থেরাপি। এটা সত্যিই মনে সুখ এনে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কেনাকাটা তাৎক্ষণিক আনন্দ দেয়, যা সাময়িকভাবে মন ভালো করতে সহায়ক।
আরও পড়ুনকম দামে কেনাকাটা করতে পারবেন মোহাম্মদপুরের এই মার্কেটে২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘জার্নাল অব কনজ্যুমার সাইকোলজি’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, কেনাকাটা করলে দুঃখ বা কষ্ট দূর হয়। আনন্দের অনুভূতি হতে পারে। গবেষণাটি আরও জানিয়েছে, কেনাকাটা করলে মানুষের মধ্যে ‘নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি’ তৈরি করে, যেটা নেতিবাচক আবেগ বা অনুভূতি লাঘবে ভূমিকা রাখে। ২০১৪ সালে ‘জার্নাল অব কনজ্যুমার সাইকোলজি’–তে প্রকাশিত আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, কেনাকাটার মাধ্যমে পছন্দ করার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হয়। এসব মনের দুঃখ বা কষ্টের অনুভূতি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
রিটেইল থেরাপির সাধারণত কোনো নেতিবাচক প্রভাব থাকে না.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।
২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।
অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।