বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য জাপানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে একটি হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান রাখেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি

জাপানে সাপ্তাহিক ছুটি ৩ দিন, থাকছে দ্রুত অফিস ত্যাগের সুযোগ

উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার জাপান। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ।

সেমিনারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ চৌধুরী বিন হারুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

সেমিনারে ‘সংস্কার-পরবর্তী বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি এবং জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন- জেটরোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্ডো।

জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.

দাউদ আলী, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাচিকো ইমোতো, জেটরো সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার, বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর প্রতিনিধি এবং টোকিও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর উপস্থিত ছিলেন। 
 
বিডা, জাইকা ও জেটরো যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে। এতে জাপানের শতাধিক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী অংশ নেন।

সেমিনার শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জাপানের ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রতিমন্ত্রী মাসাকির সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি এবং পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

জাপানি কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করে, সেই আহ্বান রেখে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশে সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছে, যা গ্রহণ করতে পারেন জাপানের বিনিয়োগকারীরা।

জাপানের প্রতিমন্ত্রী মাসাকি অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি ত্বরান্বিত করার জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টর প্রতি আহ্বান রাখেন। উভয়েই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

 ঢাকা/হাসনাত/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব ণ জ য উপদ ষ ট ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫০-৪০০ করে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ডুবেছিল বাংলাদেশ। বোলিংটাও হয়নি মনোঃপুত। তবে দ্বিতীয় দিন বোলারাই উদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে। 

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের লড়াই শেষে দুই দলের কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। হাতে ৯ উইকেট রেখে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটাই দেখার। তবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিজেদের পক্ষে আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই। 

কত রান হলে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়েকে দিতে চান তারা। এজন্য স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান লাগবেই। সেই লক্ষ্যেই ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবেন বলে জানালেন। 

তার ভাষ্য, ‘‘এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০–৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’’ 

সিলেটের উইকেটে এখন পর্যন্ত পেসাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। স্পিনারদের সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও যতটুকু সুবিধা পেসাররাই পাচ্ছেন। নতুন বলে বল বেশ ভালো মুভমেন্ট পাচ্ছে। স্পিনাররা তেমন টার্ন পাচ্ছেন না। মিরাজও জানালেন, স্পিনাররা ছিলেন সাপোর্টিং রোলে। পেসাররাই তৈরি করেছেন আসল চাপ। 

আজ দিনের শুরুতে নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খালেদের পকেটে যায় ১ উইকেট। বাকি ৫ উইকেট পান মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। 

বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি মিরাজ, ‘‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। গতকাল আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। হয়তো আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। হাসান, নাহিদ রানা এবং… খালেদ, তিনজন… খুবই ভালো বল করেছে। আমাদের স্পিনারদের ভূমিকা ছিল আমরা যেন সাপোর্ট করতে পারি। টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নতুন বলে পেসারদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেই জিনিসটা মেইনটেইন করতে পেরেছে। এবং… আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে বল করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করেছে ওদেরকে অলআউট করতে।’’ 

ম্যাচ এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আমি মনে করি। আমাদের ১ উইকেট গিয়েছে। ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর দিতে পারি তাদেরকে। চার নম্বর দিন ওদের জন্য অনেক কঠিন হবে এই উইকেটে।’’

তৃতীয় দিনের সকালের সেশনটাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছেন মিরাজ, ‘‘প্রথমে আমাদের লিড পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন ক্রস করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্ব নিয়ে বড় একটা স্কোর করতে পারি।’’

সিলেট/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ