ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে হয়নি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অথবা প্রশাসক (পূর্ণকালীন) নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো পরিচালনা করার বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন কি জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘দেখেন, এটি (স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি না থাকা) আমাদের প্রতিদিনের সমস্যা। কর্মকর্তাদের অধিকাংশকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার সংস্থায় কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের থেকে প্রতিদিনই শুনতে হচ্ছে যে “প্রশাসক দেন কিংবা নির্বাচন দেন।”’  

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনাররা কোনো না কোনো সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আছেন, জেলা প্রশাসকদেরও জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ফলে একজন কর্মকর্তার যখন দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তখন একজনের পক্ষে কোনোটাই ঠিকভাবে পালন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই জায়গা থেকে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মাধ্যমে সেখানে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আসা উচিত।’

এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, এ বিষয়ে সর্বশেষ জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সভায় আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনো চলমান। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে হয়নি। তবে খুব দ্রুতই কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে, হয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অথবা প্রশাসক (পূর্ণকালীন) নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো পরিচালনা করা হবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিলে ভালো হয় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‌‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অবশ্যই ভালো হয়।.

..কিন্তু আমার ব্যক্তিগত চিন্তা দিয়ে তো আর সিদ্ধান্ত হবে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে আসবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা পরিদর্শনে আসেন।

প্রতিনিধিদল বান্দরবানের নীলাচলে এসে পৌঁছালে সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রতিনিধিদলকে ধারণা দেন এবং বান্দরবান জেলার পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা ও পর্যটনের রূপবৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্যের ভিউগুলো  তাদের ঘুরিয়ে দেখান।

আরো পড়ুন:

‌‘নয় মাসে অর্জন করেছি এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল, বাধা অতিক্রম করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালিয়ান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইইউই অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার ও মিজ ক্যাটেরিনা মিলার, ইতালিয়ান নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওলা বেনিফিওর এবং ডাচ আইনজীবী এন্ড্রে কার্স্টেন্স উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার বান্দরবান এসে পৌঁছান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উপদেষ্টার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানসামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিস চাকমা, বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ