সাত মাসের সাজা থেকে বাঁচতে ১০ বছর পলাতক ছিলেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মুছা ওরফে বাদল হাওলাদার (৫২)। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না আর। অবশেষে ধরা পড়তে হলো পুলিশের হাতে।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বিহঙ্গল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাদল হাওলাদার ওই এলাকার মুজাহার হাওলাদারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার এএসআই কাওসার আহম্মেদ জানান, ২০১৪ সালের বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার একটি মাদক (গাঁজা) মামলায় বিচার শেষে তাকে ৭ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠির নলছিটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করলে বিচারক মিরাজুল ইসলাম রাসেল তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ১০ বছর পলাতক থাকার পরে আসামি বাদল বাড়িতে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নলছ ট

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাজ থেকে চাঁদা তোলার অপবাদ দিয়ে জেলেকে পিটিয়ে হত্যা

বরিশালের হিজলা উপজেলায় শরীফ তরফদার নামক এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

শাহীন পালপাড়া গ্রামের দিনমজুর হানিফ তরফদারের ছেলে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত শরিফের বন্ধু সোহাগ বলেন, ‘ধুলখোলা ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনায় নোঙর করা জাহাজ থেকে চাঁদা তোলার অপবাদ দিয়ে শরিফের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা হলো- আল আমিন, বাবুল, রাজিব, নোমান, মাইদুল। চিৎকার শুনে আমি ও আরফান এগিয়ে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন আকনের বাড়িতে আশ্রয় নেয় শরীফ। সেখানে গিয়েও হামলা করা হয়। শরীফকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শরীফকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

হিজলা থানার ওসি নুর আমিন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ