সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে কর্মবিরতির ডাক
Published: 18th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন শ্রমিকদের মালিকানাধীন নিলাদ্রি পরিবহন নামে একটি এসি বাস চলাচল করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদ।
তাদের ভাষ্য, আগামীকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারির) মধ্যে বাস চলাচলের অনুমতি না দিলে পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদের ডাকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
কর্মবিরতি ডাক দেওয়ার বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পরিবহন ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফয়জনূর আহমেদ।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে পাঁচ মাস আগে একটি এসি বাস কেনা হয়। শ্রমিকদের কেনা এসি বাসটি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে চলাচলে বাধ দেয় সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতি। বাস চলাচলে অনুমতি পেতে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দেওয়া হলেও উপেক্ষিত থাকছে দাবিটি। ফলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস চলাচলের অনুমতি না দিলে পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সড়ক পরিবহন ঐক্য পরিষদের ডাকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ পরিবহন ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফয়জনূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জসীম উদ্দিন, ট্রাক শ্রমিক সমিতির সভাপতি আল আমীন, লেগুনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের চারটি সংগঠন নিয়ে একটি ব্যানারে বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস মালিক সমিতির নিলাদ্রি বাস চলছে। এখন তারা হঠাৎ করে আমাদেরকে না জানিয়ে আমাদের বাসের নামে বাস চালাতে চায়।”
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার জনবল রাজস্বকরণের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলের দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের সামনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, কেয়ারটেকারদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের সারা দেশে ৩ লাখ মসজিদে ৮০ হাজার আলেম ওলামা বিগত ৩৩ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু সবসময় অবহেলিত, নির্যাতিত, বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তারা। সাতবার প্রকল্প পাস করার পর অষ্টমবার প্রকল্প পাস করার ক্ষেত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল রাজস্ব খাতে নেওয়ার। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও কোনো বেতন বোনাস দেওয়া হয়নি। সামনে ঈদুল ফিতর, পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন
২৫ লাখ মুক্তিপণ দিলেও ছেলে ফেরেনি, মানববন্ধনে পরিবারের আকুতি
ভুক্তভোগীরা বলেন, আজ যেখানে দেশের মানুষ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন দেশের ৮০ হাজার ওলামা বেতন না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন। তাই তাদের দাবি, প্রকল্পকে আউটসোর্সিং থেকে বাতিল করে রাজস্ব খাতে নিতে হবে এবং প্রস্তাবিত ৮ম পর্যায়ের প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। আর ঈদের আগেই বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসের বেতন প্রতিমাসে দিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গতে তোলা হবে।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাওয়ার সময় জেলা পরিষদের সামনে তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার খান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পাবনার ফিল্ড অফিসার রজব আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান, উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/বকুল