বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে সম্ভাব্য সব বড় শিরোপাই এসেছে লিওনেল মেসির পরিবারে। তবে এরপরও আজকের দিনটা বোধ হয় মেসি পরিবারের জন্য অন্যরকম এক আনন্দের। নাহ, মেসি নতুন করে কোনো শিরোপা জেতেননি। মেসির ঘরে এবার একদিনেই শিরোপা জিতেছেন তাঁর তিন ছেলে।

মেসির বড় ছেলে থিয়াগো মেসি ওয়েস্টন কাপের শিরোপা জিতেছে অনূর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে। দ্বিতীয় ছেলে মাতেও মেসি শিরোপা জিতেছেন অনূর্ধ্ব-১১ দলের হয়ে এবং ছোট ছেলে চিরো মেসি জিতেছেন খুদে দলের হয়ে। মেডেল পরা এবং ট্রফি হাতে সন্তানদের সঙ্গে মেসিসহ নিজের ছবি পোস্ট করেছেন আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো।    

শুধু এটুকুই নয়, একই দিন মেসির ছোট ছেলের চিরোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো তোলপাড় ফেলেছে। সেই ভিডিওতে মেসিকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো একটি গোল করতে দেখা যায় চিরোকে।

আরও পড়ুনমেসির ছেলের ১১ গোলের খবর ভুয়া০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভিডিওতে দেখা যায় মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে প্রতিপক্ষের বক্সকে লক্ষ্য করে বল নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেছে চিরো। শুরুতে বাধা দিতে আসা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে পেরিয়ে যায় মেসির ছোট ছেলে।

কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পর তাকে আটকানোর জন্য এগিয়ে আসে আরেকজন। তবে পাত্তা পায়নি দ্বিতীয়জনও। তাকেও ড্রিবল করে পেরিয়ে যায় চিরো। এরপর শেষ মুহূর্তে আরও একজন পাশ থেকে পা বাড়িয়ে চেষ্টা করে চিরোকে থামানোর, তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি।

এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে মেসিসুলভ ভঙ্গিতে আলতো ছোঁয়ায় বল বাড়িয়ে দেয় পোস্টের দিকে। বল জালে জড়াতেই মেতে ওঠে উদ্‌যাপনে। বাবাকে মনে করিয়ে দেওয়া চিরোর এই গোলে অবশ্য একটি পার্থক্য আছে মেসির সঙ্গে। এমন অসাধারণ গোলগুলো মেসি সাধারণত বাঁ পায়ে করলেও, চিরো করেছে ডান পায়ে।

আরও পড়ুননাম চিরো মেসি০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কদিন আগে মেসির বড় ছেলে থিয়াগোর ১১ গোল করার ভুয়া ফটো কার্ড ভাইরাল হওয়াকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার অবশ্য শিরোপা জেতার ঘটনাকে ভুয়া হওয়ার সুযোগ নেই। শিরোপা হাতে ছেলেদের মেডেল পরা ছবি যে রোকুজ্জো নিজেই পোস্ট করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ