সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনে সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয় তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে, আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি, আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসেবে তারা যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ আমরা মনে করছি আমরা আইনসম্মতভাবেই করেছি।

নতুন পাঠ্যবই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ বই স্কুলে পৌঁছে গেছে। এ মাসের মধ্যে স্কুলে স্কুলে সব বই পৌঁছে যাবে।

উপদেষ্টা বলেন, অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো নিবন্ধিত হওয়া দরকার, অনেকগুলো নিবন্ধিত নয়। সেগুলো নিবন্ধনের ওপর আমরা জোর দিয়েছি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণশ ক ষ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

টঙ্গীতে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আজ রোববার সকাল সাতটা থেকে তাঁরা কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে সকাল সাড়ে আটটার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তারিখ দিয়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। ১১ মার্চ হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে তখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ওই সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকেরা আজ সকালে আবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বলেন, এই কারখানার শ্রমিকেরা কয়েক দিন আগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় ১ হাজার ৫০০ জন শ্রমিকের মধ্যে ১ হাজার ২৫০ জনের বেতন দেওয়া হয়। গতকাল শ্রমিকেরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে কারখানায় ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল সাতটা থেকে শ্রমিকেরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সচিবালয় অভিমুখে আন্দোলনরত শ্রমিকরা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
  • মজুরি ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত কর্মচারীর মৃত্যুতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির ক্ষোভ
  • টঙ্গীতে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ