খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে পারলেই সবার স্বপ্ন পূরণ হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, যে সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে তরুণরা রাজপথে নেমেছে সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে পারলেই সবার স্বপ্ন পূরণ হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর পিআইবিতে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষের যে চাওয়া ছিল দেশ সংস্কারের, আমরা তা আজও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সরকারের জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করছি বিচার নিশ্চিতের।
উপদেষ্টা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল থেকেই গুম ও আয়নাঘর শুরু হয়েছিল। শেখ মুজিব যে একনায়কতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন, সেটিই বাস্তবায়ন করেন শেখ হাসিনা। শেখ মুজিব যেভাবে বিরোধীদের উপর নির্যাতন করেছেন, শেখ হাসিনাও তাই করেছেন। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুণ্ডা লালন পালন করতেন।
তিনি বলেন, এই জাতিকে উদ্ধারের প্রকল্প অনেক বড়। শুধু নির্বাচন আর সংস্কার দিয়ে কাজ শেষ হবে না। সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করছে নতুন রাষ্ট্র গঠনের।
তিনি আরও বলেন, মানুষের যে চাওয়া ছিল দেশ সংস্কারের,আমরা তা আজও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সরকারের জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করছি বিচার নিশ্চিতের।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নয়া পল্টনে বড় বড় মিছিল দেখেছি। বুড়ো লিডারশিপ পারেনি হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে। কিন্তু এই তরুণরা চাওয়া মাত্রই তা সম্ভব হয়েছে। তাই আমাদের তরুণদের উজ্জীবিত রাখতে হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”
হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”
তিনি আরো বলেন, হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।
হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।
হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
ঢাকা/শাহেদ