কিশোরগঞ্জে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ
Published: 18th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ কটিয়াদীতে বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘণ্টা কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। ফলে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেক্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
মারা যাওয়া আলী আকবর (১৪) কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের ফারুক আহমেদের ছেলে। জুনায়েদ (১২) একই গ্রামের ফেরদৌস আহমেদের ছেলে। তারা মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহতরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
আরো পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম মারা গেছেন
ফেনীতে পিকআপে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৬
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “বিদ্যালয়ের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আলী আকবর ও জুনায়েদ একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল। স্কুলে পৌঁছার একটু আগে মধ্যপাড়া সড়কে ঢাকাগামী উজান ভাটি পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই আলী আকবরের মৃত্যু হয়। আহত জুনায়েদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।”
তিনি আরো বলেন, “ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তিন ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন অবর ধ সড়ক অবর ধ ক শ রগঞ জ ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে
বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামের চারমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকবর আলীর বাড়ি ধড়মোকাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ হত্যার সঙ্গে আবদুল লতিফ (২৮) নামের এক যুবক জড়িত। তাঁর বাড়ি ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহসভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আবদুল লতিফের সঙ্গে আকবর আলীকে একটি চায়ের দোকানে দেখা যায়। রাত ১১টার দিকে ধড়মোকাম সড়কের চারমাথায় দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন এলাকার কিছু লোক। তাঁরা এগিয়ে এলে লতিফ পালিয়ে যান। এ সময় আকবর আলী রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের ওপরে পড়ে ছিলেন। খরব পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক আকবর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. শাহজামাল (২৩) বলেন, লতিফের ফোন পেয়ে তাঁর বাবা গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। একজন প্রতিবেশী তাঁর বাবার আহত হয়ে সড়কের পড়ে থাকার খরব দেন। সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন; কিন্তু বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে।