মাইগ্রেনের ব্যথা হলে খাওয়া ঠিক নয় যেসব খাবার
Published: 18th, February 2025 GMT
অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে এ ব্যথা কতটা মারাত্মক। অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা একবার শুরু হলে তিন দিনের আগে সারতেই চায় না।
মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় সময় বমি বমি লাগে, নাকে গন্ধ পান না। এসময় তাদের খেতে কষ্ট হয়, ক্লান্ত লাগে, মেজাজ পরিবর্তন হবে। হাত, পায়ে ব্যথা হয়। আবার আলোর দিকে তাকাতেও তাদের সমস্যা হয়।
কোন কোন খাবার খাবেন না
পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনে আক্রান্তের প্রবণতা বেশি। কারও যদি পারিবারিক ইতিহাসে দেখা যায়,মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল, তাহলে সেই ব্যক্তিও মাইগ্রেনের সমস্যার শিকার হবেন। মাইগ্রেন হলে কিছু কিছু খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তা না হলে মাথাব্যথায় ভুগতে হতে পারে। যেমন-
চা, কফি : মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে চা, কফি বেশি একদমই খাওয়া ঠিক নয়। এতে ক্যাফেইন থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে থাকবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
অ্যালকোহল : যারা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মাথা ব্যথার ঝুঁকি কমাতে চান, তারা ভুলেও অ্যালকোহল খাবেন না। এতে আপনার মাথা যন্ত্রণা বাড়তে থাকবে।
চকোলেট : চকোলেটে ক্যাফেইন এবং বিটা-ফেনাইলথাইলামাইন থাকে। এসব উপাদান আপনার মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে চকোলেট খেলে অল্প মাত্রায় খান। এটি খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে থাকবে।
পেঁয়াজ : অনেকের পেঁয়াজ খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। পেঁয়াজে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
পিনাট বাটার : নিয়মিত চীনা বাদাম, মাখন কিংবা পিনাট বাটার খেলেও অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে। এগুলো আবার অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনি মাইগ্রেনে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন। তাছাড়াও মাইগ্রেনের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ মতন ওষুধ খাওয়া দরকার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা বিএনপির ৩৩সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যদের আহ্বায়ক কমিটিকে ৩৩ সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচবি রুহুল কবির রিজভী এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে, ১নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহম্মেদ টুটুল এবং সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ।
এবার ২৮ সদস্যরা হলেন - আজহারুল ইসলাম মান্নান, গোলাম ফারুক খোকন, লুৎফর রহমান আবদু, এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, মো. ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাজেদুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন, আশরাফুল হক রিপন, মজিবর রহমান ভূঁইয়া, মুশকাত আহমেদ, শাহজাহান মেম্বার, শামসুল হক মোল্লা, মো. বাছির উদ্দিন বাচ্চু, এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, তাসিকুল হক ওসমান, মো. জুয়েল আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ, একরামুল কবির মামুন, মো. সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার সাদাত সায়েম, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, রহিমা শরিফ মায়া, মো. অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, সেলিম হক রূমি, মো. নূরনবী ভূঁইয়া, নাদিম হাসান মিঠু ও হামিদুল হক খান।
জানাগেছে , ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আর গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।
তার আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।