ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি যাত্রীবাহী বাস এক্সপ্রেসওয়ের কংক্রিটের ব্যারিকেডে ধাক্কা লাগলে ছিটকে পড়ে বাসের সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম জুবায়ের শেখ (৩৫)। তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার আবুল হাসানের ছেলে। 

শিবচর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক তমাল সরকার জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারালে এক্সপ্রেসওয়ের ব্যারিকেডে সজোরে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাসের সুপারভাইজার বাস থেকে ছিটকে পড়ে কংক্রিটের ব্যারিকেডে ধাক্কা খেয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের সামনের চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করে শিবচর হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন দেখে বাড়ি ফেরা হলো না নানা-নাতনির

ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহা। নানা বাবুল সরদার শখ করে নাতনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রেন দেখাতে। কিন্তু দেখে আর ঘরে ফেরা হলো না তাদের। নানাবাড়িতে ঈদ করা হলো না শিশু মুনতাহার। ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে দু’জনই।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী-খুলনা রুটের বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদের ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল মুনতাহা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নানা বাবুল সরদার তাকে নিয়ে বাঘইল দোতলা সাঁকোর ওপরে ওঠেন। 

এ সময় ট্রেনের একটি সান্টিং ইঞ্জিনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবুল সরদার। মুনতাহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।  

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, নাতনিকে ট্রেন দেখাতে এসে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ