টরন্টো পিয়ার্সন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমান দুর্ঘটনায় সকল যাত্রী ও ক্রু সদস্য জীবিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা ফ্লিন্ট। তবে এ পর্যন্ত ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা কৃতজ্ঞ যে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি এবং আহতদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর।

তবে জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় একজন শিশু এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্লেনটি উল্টে পড়ে আছে এবং এর একটি পাখা নেই। যাত্রীরা উল্টে যাওয়া বিমানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছেন, আর দমকল কর্মীরা প্লেনটিতে ফোম স্প্রে করছেন।

টরন্টো পিয়ার্সন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিনিয়াপোলিস থেকে আসা ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ৭৬ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। ঘটনার পরপরই টরন্টো পিয়ার্সন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টার দিকে ফ্লাইট পুনরায় চালু করা হয়।

ওন্টারিওর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ‘Ornge’ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে তিনটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি স্থল অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন একটি শিশু, একজন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ এবং একজন ৪০ বছর বয়সী নারী।

এ ঘটনায় কানাডার পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দুটি রানওয়ে কয়েকদিন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরের ফায়ার চিফ টড এটকিন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে রানওয়েটি শুকনো ছিল এবং কোনো বিপজ্জনক ক্রসওয়াইন্ড ছিল না, যা আগের কিছু প্রতিবেদনের সাথে সাংঘর্ষিক।

এটি গত এক মাসে উত্তর আমেরিকার চতুর্থ বড় বিমান দুর্ঘটনা, যার মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির কাছে একটি যাত্রীবাহী প্লেন ও সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনা অন্যতম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে ৮ সহস্রাধিক ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়

১৯৪৭ সালে বাংলাভাগের পর ভাষা প্রশ্নে পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনসহ কয়েকজন বলেছিলেন পাকিস্তানের ভাষা হবে বাংলা। এ বিষয়ে তাঁরা খবরের কাগজে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। বায়ান্নর সেই আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রামেও প্রেরণা জুগিয়েছে। বাংলা ভাষা প্রাপ্তির স্বীকৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে জসীমউদ্দীন্‌সহ কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ছবিসংবলিত ওই ডাকটিকিট দেখিয়ে এসব কথা বলছিলেন উদয় শংকর বিশ্বাস। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক এবং বরেন্দ্র ফিলাটেলক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকটিকিট সংগ্রাহক। দিনাজপুরে প্রথমবারের মতো স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনী ও বিক্রয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডাক বিভাগ ও বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুরের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল রশিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এনামউল্যা, সহ–উপাচার্য শফিকুল ইসলাম সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (স্ট্যাম্পস) মামুনুর রশিদ, বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক উদয় শংকর বিশ্বাস, রাজশাহীর অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, ডাকটিকিট দেখতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রায় আট সহস্রাধিক ডাকটিকিট, পোস্টকার্ড, স্যুভেনির, বিশেষ খাম, উদ্বোধনী খাম প্রদর্শন করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ বিষয়াবলির পাশাপাশি বাংলাদেশের ফুল, পশুপাখি, মাছ, লোকসংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন উৎসব, পোশাক, অলিম্পিকসহ বিভিন্ন খেলাধুলা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ, সমাজ সংস্কারে অবদান রাখা বিশেষভাবে স্বীকৃত ব্যক্তির ছবিসংবলিত ডাকটিকিট রয়েছে। বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, বিভিন্ন স্মারক ডাকটিকিট ও পোস্টকার্ড। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ আবার বিভিন্ন ডাকটিকিট বিষয়ে জানতে আয়োজকদের নানা প্রশ্ন করছেন।

আয়োজকদের একজন ডাক বিভাগের নকশাকারক সুমন্ত কুমার জানান, ২০২১ সালে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন কয়েকজন ডাকটিকিট সংগ্রাহক। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা অর্ধশত। যাঁদের প্রত্যেকের সংগ্রহে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ডাকটিকিট রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে এ ধরনের প্রদর্শনী করা হয়েছে।

ডাকটিকিট নিয়ে দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির একজন সদস্য। আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিরোনামহীনের ‘প্রিয়তমা’ প্রশংসা কুড়াচ্ছে
  • ‘অভিযুক্ত’ চালক-সুপারভাইজারকে আসামি না করায় প্রশ্ন বাদীর
  • ভুল বানানে ভরা ভাষা দিবসের প্ল্যাকার্ড, ফেসবুকে সমালোচনা
  • দিনাজপুরে ৮ সহস্রাধিক ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়
  • আন্দোলনে আহত খোকন বর্মণকে চিকিৎসা দিতে পাঠানো হলো রাশিয়ায়
  • কুয়েটের ঘটনায় শিবির ও বৈষম্যবিরোধীদের দায়ী করল ছাত্রদল
  • শাহবাগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় লংমার্চ করল গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের একাংশ
  • সচিবালয়ের সামনে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা
  • গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও স্বজনদের লংমার্চ কর্মসূচি শুরু
  • বিয়েতে দাওয়াত পেলেন না ভাই, ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা