আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্ক সুবিধায় আমদানি করেছিলেন কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি। সেইসব গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালেও খালাস করে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তাদের। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে পালিয়ে যান তারা। 

পলাতক সাবেক সংসদ সদস্যদের এসব দামি গাড়ি গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস-এর নিলাম শাখা। তবে, কোটি টাকা দামের এসব নতুন গাড়ির দাম উঠেছিল সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানিকৃত ল্যান্ড ক্রুজার ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল ২৪টি গাড়ি নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস নিলাম শাখা। শুল্ক পরিশোধের পর এসব গাড়ির প্রতিটির শো-রুম মূল্য সর্বনিম্ন দেড় কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত। নিলামে দরদাতারা গাড়ির মূল্য হাঁকিয়েছেন সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে। তবে একটি গাড়ির দাম সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। নিলাম শাখার সংরক্ষিত দামে কেউ নিলাম না ডাকায় কোনো গাড়িই গতকাল বিক্রি হয়নি। 

আরো পড়ুন:

১২ বছর গাড়িতে হর্ন বাজান না উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ, নেই যানজট

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার সাকিব হোসেন বলেন, “সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানিকৃত ২৪টি গাড়ি গতকাল নিলামে তোলা হয়। এসব গাড়ির মধ্যে একটি রিকন্ডিশন এবং অপর ২৩টি নতুন। সবার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অংশ নেওয়ায় আগ্রহী ক্রেতারা এসব গাড়ির মূল্য আশানুরূপ দাম বিট করেননি।” 

তিনি আরো বলেন, “গাড়িগুলো কাস্টমস-এর সংরক্ষিত মূল্যের অর্ধেক দামও বলেননি ক্রেতারা। ফলে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। পরবর্তীতে আবারও এসব গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ ব্যাপারে এনবিআর-এর পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” 

নিলামে দরপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্যদের যে ২৪টি গাড়ি গতকাল নিলামে তোলা হয় তার মধ্যে টয়োটা ব্র্যান্ডের ৯টি ল্যান্ড ক্রুজারের জন্য কোনো আবেদন ও দরপ্রস্তাব জমা পড়েনি। বাকি গাড়িগুলোর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনের আমদানি করা একটি গাড়ির দাম উঠেছিল ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। অন্য গাড়িগুলোর দাম ওঠে ৫ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যে।  

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন এসব গ ড় র র আমদ ন ক স টমস গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল

ভারত থেকে ১১ হাজার ৫০০ টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ১১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মেরিনা জাহাজটি ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ঢাকা/আসাদ/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল
  • ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল