শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় ভারতে পালানো স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এনজে
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ছ ত র জনত র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির আগমন ঠেকাতে কর্মসূচি ঘোষণা
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর আগমন প্রতিহত করতে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
তিনি বলেন, “জুলাই গণহত্যাকারী অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তার একাধিক বিদেশী পাসপোর্ট রয়েছে। তাই রাষ্ট্রপতি পদে তার নিয়োগই অবৈধ। এছাড়া তিনি ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে শপথ পড়িয়ে, তার সব অবৈধ ও বেআইনী কাজকে অনুমোদন করে জুলাই গণহত্যার সুযোগ তৈরি করেছেন। এ অবস্থায় তার সামনে পদত্যাগ করে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।”
তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পদত্যাগের আগে বঙ্গভবন থেকে বের হতে পারবেন না, জনপরিসরে কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না এবং আজ রাতেও তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে পারবেন না। আমরা ছাত্র-জনতা তাকে বঙ্গভবনে ফিরে যেতে বাধ্য করব। এজন্য জুলাই গণহত্যার শহীদদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের করে আমরা তাকে শান্তিপূর্ণভাবে বাধা দেব। তার আগমন ঠেকাতে রাজপথে ব্লকেড দেব।”
আহ্বায়ক বলেন, “আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন এবং গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করুন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরিয়ে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করুন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, গালীব ইহসান, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান উদ্দীন, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন, সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমেদ আলী।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী