চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে ২০২ রানে অলআউট হয়ে ৩৪.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে এই পরাজয় নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বরং তিনি আত্মবিশ্বাসী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দাপট দেখাবে।
শান্ত গত রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি গায়ে ব্যাট হাতে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে তিনি বাঘ ও ক্রিকেটের ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বাঘেরা গর্জন করতে প্রস্তুত, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কাঁপিয়ে দেব। তৈরি হও বিশ্ব, একটা ঝড় আসছে!’
শান্তর এই বার্তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সংস্থাটি গত রাতে সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে পোস্ট করেছে। যেখানে শান্ত, জাকের আলী অনিক, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ছবি দিয়ে লিখেছে, ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গর্জন করতে প্রস্তুত।’
প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬০ রান তুললেও পরবর্তী সময়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৮.
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু হবে ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দলটি। রাওয়ালপিন্ডিতে হবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি। শান্তর আত্মবিশ্বাসী বার্তা কতটা বাস্তবে রূপ নেয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
তামিমকে মিরাজদের জয় উপহার
তামিমের মোহামেডানের জয়ের নায়ক মিরাজ
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে পেয়েছিলেন তামিম। এরপর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। অধিনায়ক ছাড়াই ফিল্ডিং করে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে মোহামেডান। ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানটা ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় মোহামেডান। অষ্টম ম্যাচে মোহামেডানের এটি ষষ্ঠ জয়। দলটি আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
রনি তালুকদারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৪ রান যোগ করেন মিরাজ। এই রানের ১০৩-ই করেছেন মিরাজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি, ঢাকা লিগে প্রথম। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করা মিরাজই আউট হয়েছেন সবার আগে। রনি ফেরেন দলকে ১৭৪ রানে রেখে ব্যক্তিগত ৬১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও নাসুমরা বাকি কাজটা সারেন।
এর আগে ১০৭ রানেই শাইনপুকুরের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল মোহামেডান। এরপর শরীফুল ইসলামকে (৫৭) নিয়ে শাইনপুকুর অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান (৭৭) ৭৭ রানের জুটি গড়েন। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
পারভেজের সেঞ্চুরি, আবাহনীর সপ্তম জয়মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব করে ৯ উইকেটে ২০১ রান। রানটা ১০.৪ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী। দলটির ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৩৩ বলে ১২৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৩টি চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। পারভেজ ছাড়া আবাহনীর হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন (৫৪)। ধানমন্ডির অফ স্পিনার এনামুল হক ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এর আগে ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ৫৭ রান করেছেন। আবাহনী ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট।
সাব্বির-ইরফানের সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংকের পঞ্চম জয়ওপেনার সাব্বির হোসেন (১২১ বলে ১০২) ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের (৯৪ বলে অপরাজিত ১০৭) সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২১ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন শাহাদাত হোসেন।
রান তাড়ায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১৫ বলে ১১৬) সেঞ্চুরি পেলেও ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ৩৪ রানে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।