সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টার মাসুমা ইসলাম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জানা গেছে, মাসুমাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মিরপুরে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর নারায়ণপুরে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে রওনা হবেন স্বজনরা। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন মাসুমা। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি ভাড়া করার সময় দ্রুতগামীর একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক, মাসুমা ইসলাম ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন।

প্রথমে তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসায় উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর চারটার কিছু পরে তিনি মারা যান।

এখন টিভির রাজশাহীতে কর্মরত হাসান রাজিব বলেন, ঢাকা থেকে মাছুমার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নাটোরে গুরুদাসপুর আনা হবে। পরিবার বলছে সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

মাসুমা ২০২৪ সালে এখন টিভির রিপোর্টার হিসেবে রাজশাহীতে যোগ দেন। এর আগে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন বাংলার জনপদ নামের  রাজশাহীর একটি অনলাইনে। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়ে তিনি। গুরুদাসপুরেই ছোট থেকে বেড়ে ওঠা তার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এখন ট র একট

এছাড়াও পড়ুন:

ইফতার কিনে বাড়ি ফেরা হলো না মইদুলের

ইফতার কিনে বাড়ি ফেরার পথে নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মইদুল ইসলাম (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কের চামটিয়া মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত মইদুল ইসলাম চামসটিয়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মইদুল ইসলাম ঈশ্বরদী থেকে ইফতার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় চামটিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ঈশ্বরদীগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইদুল নিহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা অপর এক আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে খবর পেয়ে লালপুর থানার পুলিশ এসে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ও নিহত মাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে লালপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি পরে কল করতে বলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ