সমীকরণ ছিল এমন— জিতলেই মিলবে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে রবার্ট লেভানডোফস্কির পেনাল্টি থেকে পাওয়া একমাত্র গোলে কাঙ্খিত জয়টা পেয়েছে বার্সেলোনা। তাতে গোল ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এই জয়ে ২৪ ম্যাচ থেকে ৫১ পয়েন্ট ও +৪০ গোল গড় নিয়ে বার্সেলোনা আছে শীর্ষে। সমান ম্যাচ থেকে সমান পয়েন্ট ও +২৯ গোল গড় নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ৫০ পয়েন্ট ও +২৩ গোল গড় নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আছে তৃতীয় স্থানে। হার মানা ভায়োকানো ২৪ ম্যাচ থেকে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।
এদিন ম্যাচের ২৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সা। এ সময় ডি বক্সের মধ্যে বার্সার ইনিগো মার্টিনেজকে ফাউল করেন ভায়োকানোর পাথে সিস। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পরে ভিএআর চেকেও টিকে যায় সেটি। পেনাল্টি থেকে লেভানডোফস্কি গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি।
আরো পড়ুন:
দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা!
দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয়
যদিও বার্সা আরও ১৩টি দারুণ আক্রমণ শানিয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি ছিল অন টার্গেটে। ভায়োকানো ৯টি আক্রমণ শানিয়ে গোলমুখে শট নিয়েছিল ৪টি। কর্নারও পেয়েছিল ৫টি। কিন্তু তার কোনোটি থেকেই কাঙ্খিত গোলটি পায়নি তারা। তাতে হারও এড়াতে পারেনি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী
সাভারের আশুলিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ বছরের শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মণ্ডলের মালিকানাধীন দোতলা ভাড়াবাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মাগুরা জেলার মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (৫)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর একটি ওষুধ কারখানায় এবং তার স্ত্রী একটি চামড়াজাত পণ্যের কারখানায় চাকরি করেন। রান্নার কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহার করত পরিবারটি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে দূর্গাপুর এলাকার সোহাগ মণ্ডলের ভাড়া বাড়িতে রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই বাড়িতে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু মেয়েটি দগ্ধ হলে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে দগ্ধদেরকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক সোহাগ মণ্ডল বলেন, যে বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমি থাকি না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার ওই বাড়িতে গ্যাসের কোনো লাইন নেই। ভাড়াটিয়ারা সিলিন্ডার ব্যাবহার করেন। বিষয়টি আসলে কী হয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে জানার পরই বলতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের জোন-৪ এর উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, রোববার ভোররাতে আমরা জিরাবো এবং কাঠগড়া এলাকায় দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খবর পেয়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নির্বাপন করেছি। কিন্তু গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা গেছেন এবং বাকিরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।