চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে বড় পরাজয়ের মুখ দেখলেও বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা এখনো অটুট। প্রতিযোগিতার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটগুলোতে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকেই ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে দল। দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিশাদের ভূমিকার ব্যাপারে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন।

সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৩৫২ রান তাড়া করে জয় পাওয়ার ঘটনা পাকিস্তানের উইকেটের চরিত্র বুঝিয়ে দিয়েছে। এমন কন্ডিশনে রিস্ট স্পিনারদের গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সৌম্য সরকার সরাসরি রিশাদকে গেম চেঞ্জার বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, ‘রিস্ট স্পিনাররা সবসময়ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা রিশাদের ওপর ভরসা রাখছি।’

শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও শেষদিকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে পেসার তানজিম হাসান সাকিব মনে করেন, রিশাদের ব্যাটিংও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আইসিসির এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘রিশাদ বল হাতে নিয়মিত ব্রেকথ্রু এনে দেয়, পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও অবদান রাখে।’

পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে হবে। পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটকে মাথায় রেখে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, রিশাদ ভালো করলে বাংলাদেশও ভালো করবে। তার মতে, ‘পাকিস্তানের উইকেট কতটা ব্যাটিং সহায়ক, আমরা জানি। এমন কন্ডিশনে রিস্ট স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রিশাদের বোলিং দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ড গড়েছেন রিশাদ। আগের রেকর্ডধারী সাকিব আল হাসান ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রিশাদের পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে দল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ