চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদ করায় রামদাশ (৩২) নামের এক জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ করেছে বালু উত্তোলনকারীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় অপর এক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকার সমুদ্র উপকূলে ঘটনাটি ঘটে। 

এদিকে, হাতিয়া থেকে অপহৃত জেলেকে উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। তবে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে দুই ভাই রামদাশ ও লিটন দাশ নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান। সমুদ্র থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে তাদের জাল ছিঁড়ে যায়। তারা দুই ভাই বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের কাছে প্রতিবাদ করতে যান। এসময় ড্রেজার থেকে রামদাশকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। লিটন দাশকে অপহরণ করে বাল্কহেডে করে নিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা।

আরো পড়ুন:

জাতীয় সংগীত অবমাননা, নেতিবাচক ভিডিও প্রচার করায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ি জেলা আ.

লীগ নেতা খোকনেশ্বর গ্রেপ্তার

কুমিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওয়ালিউদ্দিন বলেন, “ঘটনাটি জানার পরপরই নৌ-পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বিভিন্ন স্থানে বেতার বার্তা পাঠানো হয়। পরবর্তীতে হাতিয়া থানা হাট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহরণ হওয়া লিটন দাশকে উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে নাবিল ফারহান নামের একটি বাল্কহেড। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক অপহরণ ব দ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শাহ আলীতে যুবদল নেতাকে মারধর, অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭

রাজধানীর শাহ আলী থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে মারধর ও অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শান্ত ইসলাম (২২), সিজয় আহমেদ ওরফে রমজান আলী (২৫), মো. আলম (৩৮), রবিউল ইসলাম রুবেল ওরফে ডুক্কু রুবেল (৩০), ইয়াকুব আলী (৩০), আমিনুল ইসলাম (৩০) ও মো. সোহেল (৩১)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম শাহ আলী থানা যুবদলের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল যুবদল কর্মী রাব্বি খান লোকজন নিয়ে ছাত্র–জনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই রফিকুল ইসলাম তাঁর অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এই নিয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাদী জহিরুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে ১৫ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে শাহ আলীর ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। লোকজন বাধা দেওয়ায় তাঁকে নিতে পারেনি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫–২০ জন দেশি অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, চাপাতি, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ জহিরুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী
  • খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যহত
  • হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন সন্তানদের
  • সন্তানদের ফিরিয়ে দিন হাত জোড় করছি
  • শাহ আলীতে যুবদল নেতাকে মারধর, অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
  • চবির ৫ শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত, বিশেষ অভিযান চলছে: সেনাবাহিনী
  • আপন মামার হাতে খুন রোহিঙ্গা কিশোর, মুক্তিপণ দিয়েও রক্ষা হয়নি
  • গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্র সাব্বির হত্যার বিচারের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান
  • ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগ
  • বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে মামার হাতে ভাগনে খুন