ফেনীতে পিকআপে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৬
Published: 18th, February 2025 GMT
ফেনী সদর উপজেলায় শ্রমিক বোঝাই পিকআপভ্যানে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর দক্ষিণ মাইজবাড়িয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৬ জন হলেন ভোলার মনপুরা থানার হাজীরহাট এলাকার মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে চট্টগ্রাম থেকে ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের ফেনীর হাফিজিয়া এলাকায় পিকআপভ্যানটির চাকা পাঞ্চার হলে পিকআপটি দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান সজোরে পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে তা উল্টে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ সময় ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ১০ জন। পুলিশ আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে একজন মারা যান। বাকি আহতরা ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পিকআপভ্যানের আহত যাত্রী ও ভোলার মনপুরা এলাকার মো. সোহাগ বলেন, চট্টগ্রামে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে আমরা ১৮ জন নির্মাণ শ্রমিক একটি পিকআপভ্যানে চড়ে ফেনীর দিকে আসছিলাম। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত এবং বাকিরা আহত হন। আমি মাথায় ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিল করেন তারা।
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে।
আরো পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ
শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি
আটককৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), আশুলিয়ার কলমা এলাকার মো. সোহেল পারভেজ (৪১)।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, লাল পতাকা হাতে অন্তত ৫০ জন লোক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।
আটকের পর পুলিশের গাড়িতে অবস্থানকালে আটককৃতদের একজন বলেন, “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের অবদান। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ