ভালোবাসা দিবসে বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় ৪০ শতাংশ ছাড়
Published: 18th, February 2025 GMT
বিশ্বজুড়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপিত হয়েছে ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস। উদ্যাপনের এই দিনে প্রিয় মানুষকে ফুল, চকলেট ও নানা উপহার দিয়ে তাঁর প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এক আইনজীবী দিবসটিতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। তিনি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে তাঁর ফি ৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েছেন। তবে সেটা হতে হবে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা।
মিসরের ওই নারী আইনজীবীর নাম নোহা আল জেন্দি। এই আইনজীবী তাঁর ফেসবুকের পাতায় নিজের অনুসারীদের ভ্যালেন্টাইনস ডের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় ৪০ শতাংশ ফি কম নেওয়ার ঘোষণা দেন। ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে এ ছাড় দিয়েছেন বলেও জানিয়ে দেন।
নোহা লিখেছেন, ‘খুলা (তালাক) মামলার জন্য ৪০ শতাংশ ছাড়.
কেন এই ছাড় দিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নোহা। তিনি বলেন, অনেক নারী বিবাহিত জীবনে প্রতিকূল সময় পার করছেন এবং এ থেকে মুক্তি পেতে চান। তিনি ওই সব নারীকে সাহায্য করতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
নোহার এই প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনার দিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি বিবাহবিচ্ছেদকে উৎসাহিত করছেন। কেউ কেউ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, এই প্রস্তাব বৈবাহিক জীবনে সংকটের মধ্যে আছেন, এমন নারীদের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের জবাব দিতে নিজেই এগিয়ে আসেন নোহা। তিনি বলেন, তাঁর এই উদ্যোগ নতুন নয়; বরং সংকটপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে আছেন, এমন নারীদের সহায়তা করতে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন। তাঁর এই প্রস্তাব ওই কাজেরই অংশ।
মিসরে নারীদের বিবাহবিচ্ছেদ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। বিচ্ছেদ হলে তাঁরা স্বামীকে দেওয়া যৌতুক ফেরত পাবেন। তবে স্বামীর সম্পদের ওপর থেকে অধিকার হারাবেন। সেখানে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সুস্পষ্ট আইন আছে এবং আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ য ল ন ট ইনস ড
এছাড়াও পড়ুন:
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।