জাতীয় সংগীতকে ব্যাঙ্গ করে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে কটূক্তি মূলক ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে যুবলীগের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুযারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। 

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো.

আলম মিয়া। তিনি উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ও একই ইউনিয়নের গোপালপুর ঝান্ডারের মোড় এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আ.লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জন গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. আলম মিয়া ৩-৪ দিন আগে তার টিকটক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ব্যাঙ্গ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উস্কানি দেওয়া হয়। নাগেশ্বরী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ি আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ডিআইও মো, আলমগীর হোসেন বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে কটূক্তি ও উস্কানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন আলম মিয়া। তাকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ য বল গ র আলম ম য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ