লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমার আগেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলা চালাল ইসরায়েল। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এদিকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সোমবার রাতে লেবাননের জেজিন জেলার তাইর হারফা এবং আইচিয়েহিন গ্রামে বিমান হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি মারজায়ুন জেলার সীমান্ত শহর ওদাইসেহে দুটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। মূলত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে দক্ষিণ লেবাননের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জেজিনের আইচিয়েহিনে লাহেদ ব্রিজ এবং মাহমুদিয়েহের মধ্যে লিতানি নদীর গতিপথ লক্ষ্য করে দুটি হামলা চালায়। ইসরায়েলি বিমানগুলো দক্ষিণাঞ্চলীয় টাইরে জেলার টায়ের হারফার উপকণ্ঠে আইন ইজ জারকা এলাকায়ও হামলা করেছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের মারজায়ুন জেলার ওদাইসে দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ব নন ইসর য় ল ল ব নন র ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সুমাইয়ার আক্তার। তার পরিবার ও শিশু সুয়াইবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দিন (সোমবার) দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুলাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত জামিল। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শহীদ সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থ সহায়তা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ঘরের বরান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টর্কমী সুমাইয়া আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সুমাইয়া আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। মা হারা সেই সুয়াইবার প্রথম ঈদ কাটলো আজ। এখন সুয়াইবার বয়স প্রায় ১০ মাস।

সুয়াইবার বাবা জাহিদও তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার পরিবার। এজন্যই মা-বাবাহীন সুয়াইবার ঈদ কাটছে নানি-খালা-মামার স্নেহ ভালবাসায়। দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাঁচপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া তার শিশু সুয়াইবাকে নিয়ে। আন্দোলনের সময় বাড়ির চার তলায় শিশু সুয়াইবাকে ঘুম পাড়িয়ে ২০ জুলাই বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সড়কেই মৃত্যু হয় সুমাইয়ার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ